অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেঘালয়ের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় জারি নৈশ কারফিউ
শিলং, ৯ মে (হি.স.) : পাক-ভারত যুদ্ধের আবহে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেঘালয়ের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে নৈশ কারফিউ। আজ শুক্রবার সকালে মেঘালয় সরকারের গৃহ দফতরের জনৈক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়া
মেঘালয়ে উন্মুক্ত বাংলাদেশ সীমান্ত (ফাইল ছবি)


শিলং, ৯ মে (হি.স.) : পাক-ভারত যুদ্ধের আবহে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেঘালয়ের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে নৈশ কারফিউ।

আজ শুক্রবার সকালে মেঘালয় সরকারের গৃহ দফতরের জনৈক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়া-বিহীন উন্মুক্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। সূতিনি জানান, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে তথ্য পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান রোধে বিধিনিষেধ আরোপ করতে রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির ডেপুটি কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শীর্ষ আধিকারিক জানান, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে ‘জিরো লাইন’ থেকে ২০০ মিটার দূরবর্তী এলাকাগুলিতে রাত ৮-টা থেকে সকাল ৬-টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। নির্দেশিকা অনুসারে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এবং এর আশপাশে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করার উদ্দেশ্যে মানুষের চলাচল, অননুমোদিত মিছিল, পাঁচ বা ততোধিক লোকের বেআইনি সমাবেশ এবং অস্ত্র বা অন্যান্য সরঞ্জাম বহন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি জানান, ‘নিরাপত্তা সংস্থাগুলি রাজ্যের গৃহমন্ত্রী প্রেস্টোন টিনসংকে অবহিত করেছে যে, জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য, চোরাকারবারি এবং রাতে অন্য কোনও অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে সীমান্ত অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বেড়াবিহীন সেক্টরের পার্শ্ববর্তী এলাকায়।’

প্রাসঙ্গিক এক জিজ্ঞাসার উত্তরে গৃহ দফতরের শীর্ষ আধিকারিক জানান, ভৌগলিক কারণে মেঘালয়ের বাংলাদেশ সীমান্তের মোট ৪৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৪০ কিলোমিটারেও বেশি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া সংস্থাপন করা যায়নি।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande