কলকাতা, ১১ জুলাই (হি.স.): বীরভূমের বাসিন্দা ৬ পরিযায়ী শ্রমিককে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলায় পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি সরকারের মুখ্যসচিবকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷
পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক-সহ সব পক্ষকে এই বিষয়ে খোঁজখবর করে আগামী বুধবার হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ ৷
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী বলেন, 'হেবিয়াস কর্পাস' মামলায় আদালত চাইলে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করে, তাদের বক্তব্য জানতে চাইতে পারে৷ উল্লেখ্য, দিল্লির রোহিণী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বীরভূমের বাসিন্দা তথা বাংলার ছ’জন পরিযায়ী শ্রমিককে৷
এ দিন মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী আদালতে জানান, বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ধরে 'পুশব্যাক' করা হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ওড়িশায় আটক ও হেনস্তার শিকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ওড়িশার মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্র৷ সেই ঘটনায় দুই ওড়িশা সরকারের কাছে একাধিক প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷
বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, কেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রাখা হয়েছে? কোন অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছিল তাঁদের? কোনও এফআইআর দায়ের হয়েছে কি ? আটক করার পরে ওই পরিযায়ীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এখন তাঁরা কোথায় রয়েছেন? এই সমস্ত প্রশ্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব মারফত ওড়িশা সরকারের কাছে জানতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত৷
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত