নীরমহল ঘুরতে আসা পর্যটকদের উপর হামলা
বক্সনগর (ত্রিপুরা), ১৩ জুলাই (হি.স.) : রবিবার বিকেলে সিপাহীজলা জেলার নীরমহলে ঘুরতে এসে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হলেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া মহকুমার চার যুবক। পর্যটন কেন্দ্র নীরমহল দেখে ফেরার পথে মেলাঘরের রাজঘাট চৌমুহনীতে তাঁদের উপর নেমে আসে দ
আক্রান্ত চার যুবক


বক্সনগর (ত্রিপুরা), ১৩ জুলাই (হি.স.) : রবিবার বিকেলে সিপাহীজলা জেলার নীরমহলে ঘুরতে এসে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হলেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া মহকুমার চার যুবক। পর্যটন কেন্দ্র নীরমহল দেখে ফেরার পথে মেলাঘরের রাজঘাট চৌমুহনীতে তাঁদের উপর নেমে আসে দুর্বৃত্তদের নৃশংস হামলা।

এদিনের ঘটনাটি নতুন করে মনে করিয়ে দিল—নীরমহলে ঘুরতে আসা মানেই নিরাপদ নয়। রাঙ্গামুড়া মুসলিম পাড়ার অহিদ মিয়া, নাসির মিয়া, শাকিল মিয়া ও মামুন হোসেন—এই চার যুবক দুটি বাইকে করে এদিন সকালে নীরমহলে ঘুরতে আসেন। বিকেল নাগাদ রাজঘাট চৌমুহনী এলাকায় পৌঁছতেই, এক হোটেলের সামনে হঠাৎ ২০ থেকে ২৫ জন স্থানীয় যুবক তাঁদের ঘিরে ধরে। দাবি করা হয়, শনিপূজার চাঁদা দিতে হবে।

পর্যটকরা তখন জানান, “আমরা ফেরার সময় চাঁদা দেব।” তখন বিষয়টি মিটে যায় বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে যায় এক ঘণ্টা পরে, সন্ধ্যা ছয়টায়। নীরমহল ঘুরে ফেরার পথে ঠিক একই জায়গায় ফের তাদের পথ আটকে দাঁড়ায় সেই একই যুবক দল। কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বাইকের চাবি কেড়ে নিয়ে শুরু হয় মারধর। ঘুষি, লাথি—যা সামনে পেয়েছে তাই দিয়ে চলতে থাকে হামলা। ভেঙে দেওয়া হয় বাইক ও হেলমেট। এক পর্যটকের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তিন হাজার টাকার একটি ঘড়িও।

চোখের সামনে এই ভয়ঙ্কর হামলা দেখতে পেলেও আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ কেউ এগিয়ে আসেননি। শেষমেশ গুরুতর আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় ওই চার যুবক আশ্রয় নেন মেলাঘর থানায়। থানায় লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছেন তাঁরা। তবে যেহেতু অভিযুক্তরা স্থানীয় এবং অভিযুক্তদের নাম জানা নেই, তাই এখনও পর্যন্ত নাম উল্লেখ করে মামলা হয়নি। তবে থানার তরফে জানানো হয়েছে, মুখ চিনে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আহত পর্যটকদের বক্তব্য, “আমরা চাঁদা দিতে রাজি ছিলাম। তবু আমাদের এমনভাবে মারধর করা হল। এটা কোন সভ্য সমাজে হতে পারে না।” স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande