সংশোধন...সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্ৰে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় সম্মাননার জন্য নির্বাচিত মেঘালয়ের বিজয়া সাইওয়ান
শিলং, ১৪ জুলাই (হি.স.) : সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্ৰে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় সম্মাননা পাচ্ছেন মেঘালয়ের প্রখ্যাত লেখিকা বিজয়া সাইওয়ান। আগামী ১৯ জুলাই নয়াদিল্লির লীলা প্যালেসে অনুষ্ঠেয় ‘তৃতীয় আলেখ ফাউন্ডেশন উইমেন অ্যাচিভারস অ্যাওয়ার্ডে’ জাতীয় স্
মেঘালয়ের প্রখ্যাত লেখিকা বিজয়া সাভিয়ান (ফাইল ফটো)


শিলং, ১৪ জুলাই (হি.স.) : সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্ৰে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় সম্মাননা পাচ্ছেন মেঘালয়ের প্রখ্যাত লেখিকা বিজয়া সাইওয়ান। আগামী ১৯ জুলাই নয়াদিল্লির লীলা প্যালেসে অনুষ্ঠেয় ‘তৃতীয় আলেখ ফাউন্ডেশন উইমেন অ্যাচিভারস অ্যাওয়ার্ডে’ জাতীয় স্বীকৃতি পেতে চলেছেন শিলঙের লেখক, অনুবাদক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিজয়া৷ বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য আবদানের জন্য সারা ভারত থেকে নির্বাচিত ২০ জন মহিলার মধ্যে তিনি একজন।

সম্মাননা প্ৰদান অনুষ্ঠানে ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবৰ্গ উপস্থিত থাকবেন৷ উল্লেখ্য, ‘আলেখ ফাউন্ডেশন উইমেন অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ডস’ সেই সকল নারীদের সম্মাননা প্রদান করে যাঁরা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবদান রেখেছেন।

প্ৰসঙ্গত, ভারতীয় সাহিত্যে কাজ এবং প্ৰাদেশিক খাসি সংস্কৃতি সংরক্ষণে অবদানের জন্য বিজয়া সাইওয়ানকে সম্মানিত করা হবে। ‘দ্য টিচিংস অব এল্ডারস’ এবং ‘দ্য মেইন সেরেমনি অব দ্য খাসিস’-এর মতো অনুবাদ সহ তাঁর লেখাগুলি খাসি সম্প্রদায়ের মৌখিক ঐতিহ্যকে নথিভুক্ত এবং বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বিজয়া।

এছাড়া, তাঁর কথাসাহিত্য যেমন ‘শ্যাডো মেন’ এবং ‘হিল গান অব লাভ অ্যান্ড লংগিং’, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জীবনের সূক্ষ্ম বর্ণনার জন্য দেদার প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর কাজ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাংস্কৃতিক আখ্যানকে বৃহত্তর জাতীয়স্তরে সংযুক্ত করার ক্ষমতার জন্য স্বীকৃত হয়েছে, যা মূলধারার সাহিত্যে প্রায়ই উপেক্ষিত একটি অঞ্চলকে তুলে ধরেছে।

আলেখ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. রেনি জয় বিজয়া সাইওয়ানের অবদানকে ‘সাহিত্যে এক নীরব বিপ্লব’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সম্মাননা তথা পুরস্কারের উদ্দেশ্য হলো অর্থপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী কাজের মাধ্যমে সমাজকে প্রভাবিত করে এমন মহিলাদের উৎসাহিত করা।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande