কর্মসংস্থানে পশ্চিমবঙ্গকে নীতি আয়োগের স্বীকৃতি, দাবি মমতার
কলকাতা, ১৪ জুলাই (হি.স.): নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সম্প্রতি দিল্লিতে আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠকে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাননি। সোমবার সেই নীতি আয়োগেরই রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরে তাঁর সরকারের সাফল্য বোঝাত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


কলকাতা, ১৪ জুলাই (হি.স.): নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সম্প্রতি দিল্লিতে আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠকে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাননি। সোমবার সেই নীতি আয়োগেরই রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরে তাঁর সরকারের সাফল্য বোঝাতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা সংস্থা নীতি আয়োগ। লিখেছেন, “খুশি হয়ে জানাচ্ছি যে, নীতি আয়োগ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আর্থসামাজিক সূচকে পশ্চিমবঙ্গের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে— যার মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল কর্মসংস্থান।”

নীতি আয়োগের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২–২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ২.২%, যা ভারতের জাতীয় গড় ৩.২%-এর তুলনায় প্রায় ৩০% কম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই পরিসংখ্যান বাংলার সমাবেশী ও টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলার প্রমাণ।”

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের প্রতিবেদনে রাজ্যের অন্যান্য সাফল্যগুলিও তুলে ধরা হয়েছে— যেমন, বাংলায় সাক্ষরতার হার: ৭৬.৩% (২০১১ অনুযায়ী), যা জাতীয় গড় ৭৩%-এর চেয়ে বেশি। শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে। স্কুলছুটের হার কমেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। ২০২০ সালে বাংলায় গড় আয়ু ছিল ৭২.৩ বছর, যা ভারতের গড় আয়ুর চেয়ে বেশি। তা ছাড়া বাংলায় প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৭৩ জন মহিলা রয়েছে— যা জাতীয় গড় ৮৮৯-এর তুলনায় অনেক উন্নত। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে শিশু মৃত্যুর হার ও মোট প্রজননের হারও জাতীয় গড়ের চেয়ে ভালো। সেই সঙ্গে পানীয় জলের সুবিধা, স্বাস্থ্য ও বাস্তুতন্ত্রে উন্নতির প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে নীতি আয়োগের রিপোর্টে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এগুলো রাজ্যের সমাবেশী তথা ইনক্লুসিভ উন্নয়ন নীতির সুফল। বাংলার জনকল্যাণমুখী শাসন আবারও সবার সামনে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande