ভুবনেশ্বর, ১৭ জুলাই (হি.স.): কংগ্রেস ও আরও ৭টি বিরোধী দলের সমর্থনে ওড়িশা বনধ-এর ভালোই প্রভাব পড়ল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভুবনেশ্বর, বালেশ্বর-সহ ওড়িশার বিভিন্ন অংশে স্বাভাবিক জনজীবন প্রভাবিত হয়েছে। বালেশ্বরে আত্মঘাতী এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়েছে। ভদ্রকে রেল অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, ফকির মোহন (স্বায়ত্তশাসিত) কলেজের ছাত্রীর আত্মহত্যার প্রতিবাদে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি ওড়িশা বনধ পালন করছে। ওড়িশার কংগ্রেস ইনচার্জ অজয় কুমার লাল্লু বলেছেন, ওড়িশার মেয়েকে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য কংগ্রেস দল রাস্তায় নেমেছে। এই ঘটনায় গোটা দেশ লজ্জিত। বিজেপির তথ্য অনুসন্ধানকারী দল কোথায়? মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। ওড়িশা কংগ্রেসের সভাপতি ভক্তচরণ দাস বলেছেন, আটটি বিরোধী দলের হাজার হাজার কর্মী নিজ নিজ জেলায় বিক্ষোভ করছেন। ওড়িশা বনধের প্রতি আমরা বিশাল সমর্থন পাচ্ছি। জনসাধারণও বনধকে সমর্থন করছে এবং নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার দাবি করছে।
বনধের জেরে বাস পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে, ফলে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েন। আবার ভদ্রকে চেন্নাই-কলকাতা মহাসড়কে ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহন আটকে থাকে। ভদ্রকে সকাল থেকেই দোকানপাট বন্ধ ছিল। ময়ূরভঞ্জে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বনধ সমর্থকরা।
পুরী স্টেশনেও রেল অবরোধের চেষ্টা করেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা, তবে রেল পুলিশ তাঁদের হটিয়ে দেয়। ভুবনেশ্বরে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন এবং সিপিআই (এম)-এর কর্মীরা বনধে শামিল হন। সিপিআই (এম) নেতা সুরেশ পানিগ্রাহী বলেন, আটটি রাজনৈতিক দল ওড়িশার জনগণ এবং অন্যান্য বাম গণতান্ত্রিক শক্তি, পরিবহন, শিক্ষক সংগঠনের কাছে আবেদন করেছে এবং সাড়া খুবই ভালো। এই বনধ কেবল আটটি রাজনৈতিক দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি ওড়িশার জনগণের বনধে পরিণত হয়েছে। বিজেপি দাবি করছে, বিজেপিতে একটি ডাবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে, কিন্তু তাদের শাসনকালে নারীদের উপর অনেক অত্যাচার হচ্ছে। পুলিশ নীরব।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / রাকেশ