প্রশাসনিক কাজে বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা, বলেছেন হিমন্তবিশ্ব
গুয়াহাটি, ১৭ জুলাই (হি.স.) : গোয়ালপাড়া জেলার অন্তৰ্গত কৃষ্ণাইয়ের পাইকান রিজার্ভ ফরেস্টে সংঘটিত আজকের ঘটনার জন্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা। তিনি বলেন, প্ৰয়োজনে তদন্তের আওতায় আনা হবে রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকাৰ্জুন খাড়গেকে। এছাড়া আজ প্রশাসনিক কাজে বাধা প্রদানকারী বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা।
পাইকান সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আজ সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্ৰতিক্ৰিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী ড. শৰ্মা আরও বলেন, ‘রাহুল গান্ধী অসমে আসেন এবং খোলাখুলি জবরদখলদারদের বনভূমি দখলে উৎসাহিত করেন। তাঁর উস্কানিতে উৎসাহিত হয়ে আজ হিংস্র জনতা আমাদের পুলিশ এবং বন কর্মীদের ওপর সহিংস হামলা করে পাইকান রিজার্ভ ফরেস্টে বলপূর্বক দখল করার চেষ্টা করেছে।’
হিমন্তবিশ্ব বলেন, ‘কর্তব্যরত অবস্থায় ২১ জন সাহসী পুলিশ কৰ্মী এবং বনরক্ষী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। নিরুপায় হয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনকে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়েছে। যার ফলে এক বেদখলদারের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু হয় (পরে হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু, মোট মত্যু দুজনের)।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল রাহুল গান্ধীর একদিনের অসম সফরের পর বিপর্যয়কর ঘটনা সংগঠিত হয়েছে আজ। তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য সরাসরি জীবনকে বিপন্ন করার পাশাপাশি আমাদের রাজ্যে শান্তি বিঘ্নিত করেছে। অসমের মানুষ এই বিশ্বাসঘাতকতাকে ভুলবে না, ক্ষমাও করবে না।’
মুখ্যমন্ত্ৰী ড. শৰ্মা বলেন, আজ যারা পুলিশ এবং বনকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করেছে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। প্রশাসনিক কাজে বাধা যারা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার।
তিনি বলেন, পাইকানের উচ্ছেদিত এলাকায় গাছের চারা রোপণ করে সবুজ বনাঞ্চল গড়ে হবে৷ ড. শৰ্মা বলেন, ‘সেখানে তো এখন উচ্ছেদ হয়ে গেছে, আমরা এখন গাছের চারা রোপণ কার্যসূচি শুরু করব। কেউ যদি পুলিশের ওপর হামলা করে কাজে বাধা দেয়, তা-হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। এখন আমাদের লক্ষ্য, বৃক্ষরোপণ করে জমিগুলি বনাঞ্চলে রূপান্তিত করা৷’
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস