ধসে বিধ্বস্ত হিমাচল, বিপর্যয়ে রাজ্যবাসীর পাশে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুক্কু
শিমলা, ২ জুলাই (হি.স.): গত কয়েদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে হিমাচল প্রদেশের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। একের পর এক ধস, মৃত্যুর মিছিল, বাড়ি ভাঙনে কার্যত বর্ষায় বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ। এবার আবার আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ইতিমধ্যে আবহাওয়া দফত
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী


শিমলা, ২ জুলাই (হি.স.): গত কয়েদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে হিমাচল প্রদেশের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। একের পর এক ধস, মৃত্যুর মিছিল, বাড়ি ভাঙনে কার্যত বর্ষায় বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ। এবার আবার আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ইতিমধ্যে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। আগামী ৫ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস বুধবার আবহাওয়া দফতর দিয়েছে। সেই সঙ্গে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতাও। এছাড়া ২ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, অন্তত ৮ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যের আবহাওয়া অনিশ্চিত এবং বিপজ্জনক থাকবে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় সোলন জেলার কসৌলিতে সর্বোচ্চ ৫৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বর্ষার এই দাপটে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধস এবং জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে।

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (এসইওসি)সূত্রে জানা গেছে , ২০ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে হিমাচলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন ৫১ জন, আহত হয়েছেন ১০৩ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২২ জন। এই সময়ের মধ্যে ধসে ও প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫টি বাড়ি, ৯টি দোকান এবং ৪৫টি গবাদি পশুর আশ্রয়স্থল। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ২৮৩ কোটি টাকার বেশি বলে জানা গিয়েছে।

বুধবার জেলা শাসক জানান , সোমবার রাতের পর থেকে এই জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৪ জন এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে থুনাগ, গোহর, করসোগ, ধার জারোল এবং পাণ্ডবশিলা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৭০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্যোগে ২৪টি বাড়ি, ১২টি গোশালা এবং একটি সেতু ধ্বংস হয়েছে। মারা গেছে প্রায় ৩০টি পশু। রাজ্যের এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসনের দলগুলি উদ্ধার ও ত্রাণে অনবরত কাজ করে চলেছে।বহু এলাকায় রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। এজন্য জেলা শাসক কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং ভারতীয় বায়ুসেনার সহায়তায় হেলিকপ্টারে করে খাবার, ওষুধ এবং জরুরি জিনিসপত্র পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।

রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া দুর্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুক্কু বলেন, এই কঠিন সময় সরকার সবরকম সাহায্য নিয়ে মানুষের পাশে আছে। তাঁর দাবি, প্রাথমিক হিসেবে রাজ্যে ক্ষতির পরিমাণ ইতিমধ্যেই ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সেই সঙ্গে রাজ্যবাসীকে তিনি আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। সমস্ত জেলাশাসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য




 

 rajesh pande