স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্রামীণ-এ চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত ৬০৩ কোটির বেশি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার: ভি সোমান্না
নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই (হি.স.): স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ)-এ চলতি অর্থবর্ষে এ পর্যন্ত (১৫/০৭/২৫ পর্যন্ত) কেন্দ্রীয় সরকার ৬০৩.১৫ কোটি টাকা দিয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। ওই বছর কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছিল ২,৮৪৯.৯৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্
স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্রামীণ-এ চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত ৬০৩ কোটির বেশি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার: ভি সোমান্না


নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই (হি.স.): স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ)-এ চলতি অর্থবর্ষে এ পর্যন্ত (১৫/০৭/২৫ পর্যন্ত) কেন্দ্রীয় সরকার ৬০৩.১৫ কোটি টাকা দিয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। ওই বছর কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছিল ২,৮৪৯.৯৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছিল ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে, ২১,৬২৯.৭৯ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী ভি সোমান্না। এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)।

পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, স্বচ্ছ ভারত মিশন (শহরাঞ্চল) প্রকল্পে চলতি অর্থবর্ষে (১৮/০৭/২৫ পর্যন্ত) ১৬৫.৪০ কোটি টাকা কেন্দ্র ব্যয় করেছে।

স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ গ্রামীণ (২০২৩-২৪)

২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের ৭২৯টি জেলার ১৭,৩০৪টি গ্রামে এবং ৮৫,৯০১টি স্থানে প্রধানত বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি, জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাট/বাজার/ধর্মীয় স্থানে এই সমীক্ষা চালানো হয়। প্রায় ২,৬০,০৫৯ বাড়িতে সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা গেছে, ৯৫.১ শতাংশ বাড়িতে শৌচাগার রয়েছে। সাধারণের ব্যবহৃত ৭৬.৭৫ শতাংশ এলাকায় শৌচাগার রয়েছে। ৪৫১টি গোবর্ধন/ বায়োগ্যাস প্ল্যান্টে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ৫৮.৫ শতাংশ প্ল্যান্ট কাজ করছে।

স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ)-এর দ্বিতীয় পর্বে প্রধান লক্ষ্য হল গ্রামগুলিকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত করা এবং সেই সুবাদে গ্রামাঞ্চলের পরিচ্ছন্নতাকে বৃদ্ধি করা। এই লক্ষ্যে ৫ হাজার জনবসতিযুক্ত গ্রামগুলিতে মাথাপিছু ৬০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। ৫ হাজারের বেশি জনসংখ্যাযুক্ত এলাকাগুলিতে মাথাপিছু ৪৫ টাকা করে প্রদান করা হয়ে থাকে।

ভারত সরকার ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর স্বচ্ছ ভারত মিশন (শহরাঞ্চল) চালু করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল, শহরাঞ্চলে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম বন্ধ করা এবং পুরসভাগুলিতে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা করা।

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্টার্ট-আপ এবং শিল্পোদ্যোগের পরিবেশ গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই লক্ষ্যে আইআইটি কানপুরের স্টার্ট-আপ ইনকিউবেশন অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারে একটি কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

স্বচ্ছ ভারত (গ্রামীণ) প্রকল্পে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৮৪,৬১,০৭৭টি ব্যক্তিগত শৌচাগার ও কমিউনিটি স্যানিটেশন কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, স্বচ্ছ ভারত মিশন (শহরাঞ্চল) প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যা হল ২,৮২,৫৪২।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande