খোয়াই (ত্রিপুরা), ২৭ জুলাই (হি.স.) : ত্রিপুরার উপজাতি-ভিত্তিক রাজনৈতিক দল তিপ্রা মথার হামলায় সাত বিজেপি কার্যকর্তা আহত হয়েছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিপ্রা মথার প্ৰতিষ্ঠাতা প্রদ্যোতকিশোর মাণিক্য দেববর্মণ। বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর হামলার জন্য তিনি দায়ী করেছেন সিপিআইএম-কে।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র মণ্ডল সভাপতি জয়ন্ত দেববর্মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘আজ (রবিবার) খোয়াইয়ের আশারামবাড়িতে ৩০ নম্বর বুথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান চলছিল। 'মন কি বাত' শুনতে বিজেপি-র বিভিন্ন পদমৰ্যাদার স্থানীয় নেতা ও কার্যকর্তারা সমবেত হয়েছিলেন। তখন আচমকা তিপ্রা মথার অৰ্ধশতাধিক গুণ্ডা বিজেপি কাৰ্যকৰ্তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র, রড, লাঠিসোঁটা ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। কেবল তা-ই নয়, আমাদের কার্যকর্তাদের লক্ষ করে কাঁচের বোতল এবং ইটপাটকেলও ছুঁড়েছে তারা।’
মণ্ডল সভাপতি জয়ন্ত দেববর্মার বক্তব্য, ‘হামলায় সাতজনের বেশি বিজেপি-কার্যকর্তা আহত হয়েছেন। তাঁদের মাথায়, মুখে ও বুকে আঘাত লেগেছে। আহতদের মধ্যে ছয়জনের আঘাত গুরুতর।’
তাঁর অভিযোগ, ‘এখানেই ক্ষান্ত না হয়ে তারা আমার গাড়ি সহ বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং ১৫ বাইক ভাঙচুর করেছে।’
এদিকে বিজেপির অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তিপ্রা মথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মণ। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, তাঁর দলের (তিপ্রা মথা) একজন কর্মীও হামলার সাথে জড়িত ছিলেন না। তাঁর দাবি, একদা সিপিআইএম-কর্মী অধুনা বিজেপির মণ্ডল সভাপতি জয়ন্ত দেববর্মার বিরুদ্ধে পুরনো এক বিবাদের জেরে সিপিআইএম এই হামলা সংগঠিত করেছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস