দুর্গাপুর, ৩ জুলাই (হি.স.) : মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব আছে, সমাজ বিরোধীদের নেতা বানিয়েছেন। নেতাদের সমাজবিরোধী বানিয়েছেন। মনোজিৎ তৃণমূলের যোগ্য নেতা। অনুব্রত মন্ডল যে কথা বলেছে, সেটা তার চেলা করে দেখিয়েছে। মনোজিৎকে তৃণমূলের পুরস্কার দেওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে চিত্রালয় মেলা ময়দান থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে কড়া আক্রমন করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, রথের মেলা উপলক্ষে দুদিনের শিল্পশহর সফরে এসেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর চিত্রালয় মেলা ময়দানে সন্ধ্যা আরতিতে যোগ দেন তিনি। বৃহঃস্পতিবার চিত্রালয় মাঠে প্রাতঃভ্রমনের পর চা-চক্র সারেন। এদিন তার হাতে ছিল ডুগডুগি। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রাবন মাস আসছে। মহাদেবের হাতে ডুগডুগি থাকে, সকলেকে জাগানোর জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমারও সমাজকে জাগানোর জন্য জাগরণ করছি। সেজন্য ডুগডুগি নিয়েছি সবাইকে জাগানোর জন্য। বৃগঃস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি ঘোষনা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে এদিন ওই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। সেপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীলিপ ঘোষ কখনই দৌড়ে ছিলেন না। যখন যে সংগঠনে দায়িত্বে এসেছি, নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। আমার দায়িত্ব শেষ হয়েছে। সংগঠনের কাজে পার্টির কর্মীদের সঙ্গে ঘুরছি। ব্যারেকে আছি। বাজনা বাজলেই যুদ্ধে নেমে পড়ব। আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস পালনকে কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই দিন শহীদদের তর্পন হয় না। শুধু বিজেপির সমালোচনা করে। যারা ২১ জুলাই গুলি চালিয়েছিল তাদের মঞ্চে বসিয়ে সম্মান দেওয়া হয়, আর যারা সত্যিই শহীদ হয়েছেন, তাঁদের কোনও সম্মান দেওয়া হয় না। তৃণমূল কংগ্রসকে নিশানা করে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচন হয় না। কলেজগুলিতে ইউনিয়ন অফিস থাকে। সেখানে মদ জুয়ার আড্ডা চলে। রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কার্যালয়ে মজমস্তি চলে। মদ জুয়া আর ধর্ষনের আড্ডা চলে। পার্টির কর্মীদের দ্বারাই মহিলা কর্মীরা ধর্ষিতা হয়। সন্দেশখালি থেকে কসবা ল'কলেজ সব জায়গায় একই চিত্র। কসবার ল'কলেজ কান্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব আছে, সমাজ বিরোধীদের নেতা বানিয়েছেন। নেতাদের সমাজবিরোধী বানিয়েছেন। মনোজিৎ তৃণমূলের যোগ্য নেতা। অনুব্রত মন্ডল যে কথা বলেছে, সেটা তার চেলা করে দেখিয়েছে। মনোজিৎকে তৃণমূলের পুরস্কার দেওয়া উচিত। এদিন শমিক ভট্টাচার্য্য কে রাজ্য সভাপতি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শমিক ভট্টাচার্য্যে ভালো বক্তা। পার্টির মুখপাত্র ছিলেন। ভালো ডিবেট করতে পারেন। দীর্ঘদিনের কর্মী। পার্টি ভালো মনে করেছেন, তাই করেছেন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা