ধুবড়ি (অসম), ৩ জুলাই (হি.স.) : ধুবড়ি জেলার অন্তর্গত গোলকগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ২০০ কিলোগ্রাম (দুই কুইন্টাল) নিষিদ্ধ গো-মাংস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গো-মাংস পাচারের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলাধীন বকসিরহাট থানা এলাকার মানসাইয়ের বাসিন্দা জনৈক আজিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অসমে গরু-বাণিজ্যে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বহুদিন আগে। এর মধ্যেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত চলছে গো-মাংস কেনাবেচা। দুদিন আগে গোটা অসমে একদিনে গো-মাংসের বিরুদ্ধে আসাম পুলিশ অভিযান চালিয়ে হোটেল-রেস্তরাঁ থেকে কয়েকশো কুইন্টাল গো-মাংস বাজেয়াপ্ত করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শতাধিককে।
এদিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ধুবড়ি জেলার অন্তর্গত গোলকগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেবজিত কলিতার নেতৃত্বে একটি দল ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরাটনগর চারিয়ালিতে অভিযান চালায়। অভিযানকালে পুলিশের দল গৌরীপুরগামী একটি নম্বরবিহীন স্কুটার (অ্যাকটিভা)-কে থামার সংকেত দেয়। পুলিশের সংকেত পেয়ে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে স্কুটার। তবে স্কুটারের চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আজিজুর রহমান নামের যুবক। অ্যাকটিভার সিটের নীচে এবং ফুটবোর্ড থেকে নিষিদ্ধ দুই কুইন্টাল গরুর মাংস উদ্ধার করেন পুলিশের অভিযানকারীরা।
অসমে গো-মাংস বিক্রি ও পরিবহণের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গ থেকে গোপনে কুইন্টাল কুইন্টাল নিষিদ্ধ গো-মাংস পাচার হচ্ছে অসম। ধৃত আজিজুর রহমান বলেছে, বকসিরহাটের মানসাই প্রায় প্রতিদিনই গরু কাটা হয়। গতকাল রাতে তাকে নাকি ফোন করে কাটা গরুর মাংসগুলি গৌরীপুরের জনৈক মহাজন আমিনুরের কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আজ ভোরে সে মানসাই থেকে কাটা গরুর মাংসগুলি নিয়ে আসছিল।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস