কলকাতা, ৩ জুলাই (হি.স.): শান্তনু সেনের ডাক্তারি লাইসেন্স ২ বছরের জন্য সাসপেন্ড করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার তাঁকে ডেকেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল। আর সেখানেই দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। শুধু রেজিস্ট্রেশন না করে ডিগ্রি ব্যবহার নয়, মেডিক্যাল কাউন্সিলের আরও অভিযোগ ডিগ্রির বিষয়টি স্পষ্ট করে প্রফেশনাল লেটার হেডে লেখেননি ডাঃ সেন।
কাউন্সিলের চিঠি পাওয়ার পর যথাযথভাবে আবেদন করে রেজিস্ট্রেশন নথিভুক্ত করার জন্য ১০ হাজার টাকা জমা করেন তিনি। সেই টাকাও ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ শান্তনুবাবুর। যদিও রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনা সম্পর্কে এখনও বিশদে কিছু জানেন না তিনি। পুরো বিষয়টি জানার পরেই বলতে পারবেন।
শান্তনুবাবু নিজে একসময়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে সরকার মনোনীত সদস্য ছিল। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডের পর যখন তৃণমুলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে, তখন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই শান্তনুবাবুকেই এবার দোষী সাব্যস্ত করল মেডিক্যাল কাউন্সিল।
অভিযোগ, কাউন্সিলে নথিভুক্ত নয়, এমন ডিগ্রি ব্যবহার করছিলেন এই চিকিত্সক নেতা। তদন্তে কমিটি রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত। এর আগে ডিগ্রি বিতর্কে শান্তনু সেন বলেছিলেন, 'আমি একশো শতাংশ সঠিক। যদি ওরা নিজেদের না শোধরায়, ব্যক্তিগত আক্রোশে এই ধরণের অন্যায় কাজ করে, আমি উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে যাব। না হলে ন্যায়ালয়ের মধ্যে দিয়ে কীভাবে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয় সেটা আমার খুব ভালোভাবে জানা আছে'।
শান্তনুবাবুর দাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল ব্যক্তিগত আক্রোশ ও প্রতিহিংসার কারণে, আমার সঙ্গে যে অন্যায় করছে, সেটা পেনাল এথিক্যাল কমিটি আমাকে ডাকার পর, তথ্য-প্রমাণ-সহ প্রমাণ করে দিয়েছি। তারপরেও আমার কাছে একটা চিঠি এসেছে'।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত