মুর্শিদাবাদ, ৩০ জুলাই (হি. স.) : পদ্মা নদীর গর্ভে লালগোলা তলিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একদিকে চলছে বৃষ্টি, অন্যদিকে ভাঙনও অব্যাহত রয়েছে। এই দুই সাঁড়াশি আক্রমণে লালগোলার বাসিন্দাদের মধ্যেই অজানা আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। নদী গতিপথ যদি না বদল করে তাহলে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই হবে প্রাচীন এই শহরের। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ও আখেরিগঞ্জ যদিও ইতিমধ্যেই পদ্মা নদীর গর্ভে চলে গেছে। এই মুহূর্তের আশঙ্কা লালগোলা ব্লকের দুটি অঞ্চল বিপদসঙ্কুল। এর পাশাপাশি লালগোলা শহরেও বিপদের হাতছানি। সুতরাং আশঙ্কার মধ্যেই রয়েছেন মানুষ। তিন কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে লালগোলা রেলস্টেশন। যদিও সেখানে কোনও পুরসভা নেই ফলে এই মুহূর্তে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যেই রয়েছে ৫০ হাজারের অধিক মানুষের বসবাস। কার্যত প্রমাদ গুণছেন তাদের সকলেই। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে সম্ভব ওই লালগোলাকে বাঁচানো। নয়তো পদ্মা নদীর গ্রাসেই চলে যাবে। জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিলবোরা ও লালগোলা এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলীন হতে সময়ের অপেক্ষা মাত্র। গত বছর থেকেই বিলবোরা কোপরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভাঙন আরম্ভ। এ বছর তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। তারানগর এলাকায় অসিকুল ইসলাম নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার পদ্মাগর্ভেই তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। হদিশ মেলেনি মৃতদেহের এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ পায় নি তাঁর পরিবার। সেখালিপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি গ্রাম পদ্মাগর্ভে। বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন ও মানুষ ষজন এলাকা ছাড়া। কয়েকশো বিঘে জমিও সেখানে বিলীন হয়েছে। তারানগর, দুর্লভপুর, রামনগর জোৎ খামার, কালিকাপুরের স্থানীয় মানুষের জীবন বিপন্ন। তিন কিলোমিটার দূরত্বে বি এস এফ ক্যাম্প। ইতিমধ্যেই সেখানে কাঁটাতারের বেড়া পদ্মানদীতে। আশায় রয়েছেন লালগোলা'য় বাসিন্দারা। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য মোতা আর হোসেন রিপন বলেন, যদিও রাজ্য সরকার ভাঙন প্রতিরোধেও উদ্যোগী। এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সাইফুদ্দিন বিশ্বাস জানান, যদিও নদী ভাঙন রুখতেই নির্বিকার কেন্দ্রীয় সরকার।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত