আগরতলায় নতুন অত্যাধুনিক রানিং রুম উদ্বোধন এনএফ রেলের
লোকো পাইলটদের দক্ষতা ও সুস্থতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষের গুয়াহাটি, ৫ জুলাই (হি.স.) : ট্রেন পরিষেবার সুরক্ষা, সময়ানুবর্তিতা এবং সুগম পরিচালন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে লোকো পাইলটরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রেল পরিবহণ ব্যবস্থা
আগরতলায় নতুন অত্যাধুনিক রানিং রুম উদ্বোধন এনএফ রেলের


নতুন অত্যাধুনিক রানিং রুম


লোকো পাইলটদের দক্ষতা ও সুস্থতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষের

গুয়াহাটি, ৫ জুলাই (হি.স.) : ট্রেন পরিষেবার সুরক্ষা, সময়ানুবর্তিতা এবং সুগম পরিচালন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে লোকো পাইলটরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রেল পরিবহণ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হিসেবে লোকো পাইলটরা কঠিন পরিস্থিতিতেও কাজ করেন, যেখানে সর্বোচ্চ সতর্কতা, শারীরিক ফিটনেস এবং মানসিক সুস্থতার প্রয়োজন হয়। রেল সুরক্ষা এবং কর্মক্ষমতায় তাঁদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে রানিং স্টাফ, বিশেষ করে লোকো পাইলটদের কর্ম পরিবেশ শক্তিশালী করতে এবং অপারেশনাল প্রস্তুতি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আজ শনিবার এক প্রেস বিবৃতিতে এ খবর দিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, চালকদের সুযোগ-সুবিধার আধুনিকীকরণ এবং বিশ্রাম ও স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আগরতলায় একটি নতুন অত্যাধুনিক রানিং রুম উদ্বোধন করেছে। রেলওয়ে বোর্ডের নির্দেশিকা অনুসারে সম্পূর্ণরূপে সংগতিপূর্ণ এই সুযোগ-সুবিধায় ২৪টি আবাসিক কক্ষ (৪৮টি শয্যা), ১০টি কমিউনিটি কক্ষ যেমন যোগব্যায়াম ও ধ্যান হল, জিমনেশিয়াম, রান্নাঘর এবং খাবারের জায়গা রয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রথম রানিং রুম যেখানে উন্নত অ্যাক্সেসযোগ্যতার জন্য লিফট রয়েছে। সমস্ত ৩৪টি কক্ষই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, যেখানে ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ, সিসিটিভি নজরদারি, সামঞ্জস্যযোগ্য আলো, আপাৎকালীন বহির্গমন পথ এবং কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের মতো অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অধীনে নিউ কোচবিহারের রানিং রুমেও আইএসও ৯০০১:২০১৫ সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যার ফলে চালক দলের সদস্যদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর, সুরক্ষিত এবং আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। কর্মচারীদের কল্যাণে আরও সহায়তা প্রদানের জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত চাপ মোকাবিলার জন্য পারিবারিক পরামর্শ সেশন চালু করেছে। এ রকম একটি সেশন গত ২৮ জুন নিউ কোচবিহারে আয়োজন করা হয়, যেখানে পরিবারগুলিকে আধিকারিকদের সাথে মতবিনিময় করার জন্য একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা হয়, যার ফলে মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং কর্তব্যের প্রতি মনোযোগ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার লোকো পাইলটদের আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তির সাহায্যে সমর্থন ও ক্ষমতায়নের জন্য বেশ কয়েকটি দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অডিও-ভিজ্যুয়াল রোড লার্নিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যার ফলে লোকো পাইলটদের ইমার্সিভ ডিজিটাল মডিউলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ রুট বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে পরিচিত করতে সহায়ক হবে, যার ফলে রুট জ্ঞান এবং পরিচালনগত সুরক্ষা বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘ পথ যাত্রার সময় আরও আরাম নিশ্চিত করার জন্য লোকো পাইলটদের বিশেষভাবে ব্যবহারের জন্য ইঞ্জিনে জলহীন প্রস্রাবগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিজিটাল লার্নিঙের ক্ষেত্রে ‘জ্ঞানবাপি’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের প্রবর্তনে লোকো পাইলটদের যাত্রার সময় প্রযুক্তিগত জ্ঞান, সার্কুলার এবং পরিচালন নির্দেশিকাগুলিতে সহজ অ্যাক্সেস প্রদান করেছে। অতিরিক্তভাবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ট্রেন পরিচালনের সময় লোকো পাইলটদের সতর্কতা এবং উপস্থিতি নিশ্চিত করতে একটি সক্রিয় ব্যবস্থা হিসাবে কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) বিশ্লেষণ বাস্তবায়ন করেছে, যা ঘটনার পর যাচাইকরণে সহায়তা করে এবং সুরক্ষা বৃদ্ধি করে, চালক দলের চলাচল এবং যোগাযোগের সঠিক পর্যবেক্ষণ সক্ষম করে, জবাবদিহিতা এবং পরিচালনাগত তদারকি শক্তিশালী করে। একটি উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল পদক্ষেপ হিসেবে ৫৯টি স্টেশনে ডেটা লগারগুলিকে কন্ট্রোল অফিস অ্যাপ্লিকেশন (সিওএ)-এর সাথে একীকৃত করা হয়েছে, যার ফলে ট্রেন পরিচালন এবং চালক দলের কর্মক্ষমতা আরও ভালভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য রিয়েল-টাইম ডেটা উপলব্ধতা সম্ভব হয়েছে।

এই পদক্ষেপ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ফ্রন্ট লাইন অপারশনাল স্টাফদের সুরক্ষা, কর্মপরিবেশ এবং ক্রমাগতভাবে শিক্ষার উন্নতির প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে বলে প্ৰেস বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande