আগরতলা, ৮ জুলাই (হি.স.) : শ্রমিক কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৭ দফা দাবির ভিত্তিতে বুধবার দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট। দেশের দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এই দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘটের সমর্থনে রাজ্যেও জোরদার প্রচার চলছে। এই সাধারণ ধর্মঘটের বিরোধীতা করেছে প্রদেশ বিজেপি। বিজেপি এই ধর্মঘটকে কর্মনাশা এবং সর্বনাশা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
মঙ্গলবার আগরতলায় বিজেপি রাজ্য দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে এই সর্বনাশা ধর্মঘটের বিরোধীতা করে বিজেপির সহ-সভানেত্রী পাপিয়া দত্ত জানান, দেশে একদিন ধর্মঘট হলে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। বিজেপি দল এই ধর্মঘটের বিরোধীতা করছে। তিনি আরও জানান, রাজ্যে এত উন্নয়ন, সাড়ে চার লক্ষের উপর ঘর প্রদান, মহিলাদের জন্য বাইসাইকেল বিতরণ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এত বৈপ্লবিক পরিবর্তন সবকিছুই বিনা আন্দোলন এবং ধর্মঘটেই হয়েছে।
তিনি বলেন, বুধবার রাজ্যের জাতি ও উপজাতিদের মেলবন্ধনের উৎসব খার্চি পূজার সমাপ্তি দিন। এই উৎসবকে বিঘ্নিত করার একটি অপপ্রয়াস কমিউনিস্টরা গ্রহণ করেছে। এই দিনে এই ধরনের ধর্মঘটের কর্মসূচি গ্রহণ করে তারা প্রমাণ করে দিয়েছে কমিউনিস্টরা ধর্মবিরোধী শক্তি। বিজেপি রাজ্য সহ-সভানেত্রী আরও জানান, রাজ্যবাসী এই ধর্মঘটকে মেনে নেবেন না। বুধবার রাজ্যের সবকিছু স্বাভাবিক থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিন প্রদেশ বিজেপি সহ-সভানেত্রী পাপিয়া দত্ত জানান, ধর্মঘটের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাম নেতৃত্ব শংকর প্রসাদ দত্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভুল বক্তব্য রাখছেন। তিনি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১ নম্বর ধারার অপব্যাখ্যা করছেন বলে অভিযোগ করে পাপিয়া দত্ত জানান, এর জন্য শংকর প্রসাদ দত্তের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যের চা শ্রমিক থেকে শুরু করে নির্মাণ শ্রমিক পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কথা সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন রাজ্য বিজেপি সহ-সভানেত্রী পাপিয়া দত্ত।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ