ঐতিহ্যের সরণী পেরিয়ে : সুবর্ণ জয়ন্তীতে ডি ডি বাংলা, বসলো তারকাদের মেলা
কলকাতা, ১ আগস্ট ( হি. স.) : সময়টা তখন ৯ আগস্ট ১৯৭৫ সাল।কল্লোলিনীর বুকে জন্ম নিয়েছে কলকাতা দূরদর্শন, উদ্দেশ্য শিক্ষা থেকে বিনোদন , ক্রীড়া থেকে বিবিধ সবক্ষেত্রেকে বাঙালির বৈঠকখানায় পৌঁছে দেওয়া । চড়াই - উৎরাই পেরিয়ে সুুবর্ণ জয়ন্তীর সরণিপ্রান্ত
ঐতিহ্যের সরণী পেরিয়ে : সুবর্ন জয়ন্তীতে ডি ডি বাংলা, বসলো তারকাদের মেলা


কলকাতা, ১ আগস্ট ( হি. স.) : সময়টা তখন ৯ আগস্ট ১৯৭৫ সাল।কল্লোলিনীর বুকে জন্ম নিয়েছে কলকাতা দূরদর্শন, উদ্দেশ্য শিক্ষা থেকে বিনোদন , ক্রীড়া থেকে বিবিধ সবক্ষেত্রেকে বাঙালির বৈঠকখানায় পৌঁছে দেওয়া । চড়াই - উৎরাই পেরিয়ে সুুবর্ণ জয়ন্তীর সরণিপ্রান্তে আজ ডি ডি বাংলা। । সেই উপলক্ষে শুক্রবার কলকাতার সায়েন্স সিটির অডিটোরিয়ামের এই বর্ণাঢ্য সন্ধ্যায় উপস্থিত একঝাঁক তারকা । অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথির আসন অলংকৃত করেছেন ডিরেক্টর জেনারেল সতীশ নামবুদ্রিপাদ , গোপাল কুমার , ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল , এডিজি রাজীব কুমার ভট্টাচার্য । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ দাশগুপ্ত , অনন্যা বন্দোপাধ্যায় , আশীশ দে, স্নেহাশীষ সুর প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। ডিজিটাল প্রদীপ প্রজ্বলন ও কল্যাণ সেন বরাট ও ক্যালকাটা কুইরের সমবেত সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয় ।

এদিন ডিরেক্টর জেনারেল সতীশ নামবুদ্রিপাদ তাঁর বক্তৃতায় তুলে ধরেন দূরদর্শনের গৌরবান্বিত ইতিহাস , যখন সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারিত হতো দিনে ৩ ঘণ্টা , বিকেল ৬:৩০ টা থেকে রাত ৯:৩০ পর্যন্ত । ২০ টি অনুষ্ঠানের মধ্যে ৪ টি ছিল বিবিধ অনুষ্ঠান । তিনি আরও বলেন ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ , দূরদর্শনের কাছে সর্বাপেক্ষা সুবর্ণ সময় । তবে দূরদর্শনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখাটাই বর্তমানে দাঁড়িয়ে আমাদের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করছে।এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে , তাদের মধ্যে অন্যতম হলো দেশ তথা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বেসরকারি মাধ্যমগুলোর সঙ্গে প্রকাশ্য প্রতিযোগিতা , লক্ষ্য দর্শকদের চাহিদার পরিবর্তন , বিশেষত তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ দূরদর্শনের সঙ্গে পরিচিত নয় । তবে এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে ।এখনও যে সকল মানুষ জড়িত রয়েছেন আমাদের সঙ্গে, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই সমস্যার দ্রুত নিরসন হবে বলে আশা রাখছি । বক্তব্যের রেশ টেনেই ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গোপাল কুমার প্রথমেই ধন্যবাদ জানান ডি ডি বাংলার সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মী এবং কলাকুশলীদের , যাদের ছাড়া দূরদর্শন অসম্পূর্ণ থেকে যায় ।

অনুষ্ঠান অর্ঘে ছিল সৌরেন্দ্র - সৌম্যজিতের মন মাতানো গান, প্রখ্যাত বাচিকশিল্পী উর্মীমালা বসু এবং জগন্নাথ বসুর শ্রুতি নাট্য, চৈতি ঘোষাল ও দেবেশ রায়চৌধুরীর পরিবেশনা, তনুশ্রী শঙ্কর নৃত্যগোষ্ঠীর পরিবেশনা সহ একঝাঁক সম্ভার ।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৃজিতা বসাক




 

 rajesh pande