আলিপুরদুয়ারে ‘ফোসট্যাক’ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন এমএফ রেলওয়ের
গুয়াহাটি, ১৭ আগস্ট (হি.স.) : উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে চলতি আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালে একটি ফুড সেফটি ট্রেইনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন (ফোসট্যাক, বা এফওএসটিসি) প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছে। এর লক্ষ্য ছিল, ফুড সেফ
ফোসট্যাক প্রোগ্রামের এক মুহূর্ত


গুয়াহাটি, ১৭ আগস্ট (হি.স.) : উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে চলতি আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালে একটি ফুড সেফটি ট্রেইনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন (ফোসট্যাক, বা এফওএসটিসি) প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছে। এর লক্ষ্য ছিল, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)-র অধীনে 'ইট রাইট স্টেশন' এবং 'ইট রাইট ক্যাম্পাস' সার্টিফিকেশনের প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেছেন ফোসট্যাক প্রশিক্ষক দেবারতি কুণ্ডু এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করেন এফএসএসএআই অডিটর কল্পনা প্রজাপতি। ম্যারিকো লিমিটেডের সহায়তায় ইউনিমোডাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের আওতাধীন স্টেশনগুলির খাদ্য পরিচালনাকারী, জোনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের রান্নাঘরের কর্মী এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা যথাক্রমে ডা. জীবেশকুমার সরকার (এসিএমএস/আলিপুরদুয়ার), ডা. সুমিত প্রিয়দর্শী (সিনিয়র ডিএমও/আলিপুরদুয়ার), হেমন্তকুমার কানৌজিয়া (এএইচও/হেডকোয়ার্টার/মালিগাঁও), দীপঙ্কর দে (খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক/আলিপুরদুয়ার), রীনা পাল (সহকারী নার্সিং আধিকারিক/আলিপুরদুয়ার) এবং অলোক নন্দন সিং (এএইচও/আলিপুরদুয়ার)।

আজ রবিবার এক প্রেস বার্তায় এ খবর দিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা। প্রেস বার্তায় শর্মা জানান, এফএসএসএআই নির্দেশাবলী অনুসারে প্রাক-অডিট এবং চূড়ান্ত তৃতীয় পক্ষের অডিটের পাশাপাশি 'ইট রাইট স্টেশন' সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করার জন্য ফোসট্যাক প্রশিক্ষণ একটি মূল শর্ত। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ধারাবাহিকভাবে তার সার্টিফাইড স্টেশনগুলির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে চলেছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে গুয়াহাটি এই জোনে প্রথম স্থান অধিকার করে। এর পর গত কয়েক বছর ধরে লামডিং, হরিশচন্দ্রপুর, নিউ বঙাইগাঁও, নিউ জলপাইগুড়ি, রঙিয়া, মরিয়নি, সামসি, কামাখ্যা এবং নিউ তিনসুকিয়া স্থান পেয়েছে। প্রতিটি সার্টিফিকেশন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতা এবং প্রশিক্ষিত খাদ্য সুরক্ষা সুপারভাইজারদের মাধ্যমে নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার সরবরাহকারী স্টেশনগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের লক্ষ্য, আরও বেশি স্টেশন এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রাঙ্গণকে 'ইট রাইট'-এর আওতায় আনা, যাতে জোন জুড়ে উন্নত যাত্রী পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। ‘ইট রাইট স্টেশন’ এবং ‘ইট রাইট ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি জাতীয় “ইট রাইট ইন্ডিয়া” আন্দোলনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যবিধি এবং পুষ্টি প্রচার করে। আলিপুরদুয়ারের এই প্রশিক্ষণ উত্তরপূর্ব ভারতের রেল ব্যবহারকারীদের জন্য বিস্তৃত সম্মতি অর্জন এবং সামগ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির দিকে আরও একটি পদক্ষেপ হিসাবে পরিগণিত বলে দাবি করা হয়েছে প্রেস বার্তায়।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande