কলকাতা, ৩০ আগস্ট, (হি.স.): “সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মানে ভূষিত, প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, সাহিত্য সমালোচক ও শিল্পকলা-গবেষক, পদ্মভূষণ পণ্ডিত নীহার রঞ্জন রায় মহাশয়ের প্রয়াণ দিবসে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।” শনিবার এক্সবার্তায় এ কথা লিখলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্তবাবু লিখেছেন, “ছাত্রাবস্থাতেই তিনি আকৃষ্ট হয়েছিলেন অনুশীলন সমিতির প্রতি।এরপর ক্রমে অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সুভাষচন্দ্র বসু প্রতিষ্ঠিত ইংরেজি লিবার্টি পত্রিকার সাহিত্য বিভাগ পরিচালনা এবং ১৯৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কারাবরণ, সব মিলিয়ে তাঁর কর্মকাণ্ডে দেশপ্রেমিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল।
অধ্যাপনা, গবেষণা ও প্রশাসনের দীর্ঘ পথচলায় তিনি এক অনন্য ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গ্রন্থাগারিক (১৯৩৭), রানী বাগেশ্বরী অধ্যাপক (১৯৪৬), প্রফেসর এমিরেটস (১৯৭৬-১৯৮১), শিমলার ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ-এর প্রথম পরিচালক (১৯৬৫-১৯৭৩) এবং ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা হিসেবে (১৯৭৩-১৯৭৬) তাঁর কর্মযাত্রা আজও প্রেরণাদায়ক।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যথাক্রমে রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটি, রয়েল সোসাইটি অফ আর্টস, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোশিয়েশন অফ আর্টস, এশিয়াটিক সোসাইটি সহ নানা মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ফেলো নির্বাচিত হয়ে তিনি ভারতীয় ইতিহাস-চর্চার বিশ্বজনীন গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির জগতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত