হাসিমুখে উচ্ছেদ আগরতলায়, সরকারি জমি ছাড়লেন ১৯ পরিবার
আগরতলা, ৩০ আগস্ট (হি.স.) : আগরতলার দক্ষিণ জয়পুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় এক অনন্য দৃশ্য দেখা গেল শনিবার ভোরে। দীর্ঘ ৪০- ৪৫ বছর ধরে হাওড়া নদীর তীরে সরকারি জমিতে বসবাসকারী ১৯ পরিবার আজ পুর নিগম, এসডিএম, তহশিলদার ও পুলিশের উপস্থিতিতে সরকারি নোটিশ মেনে হাসিমুখে
উচ্ছেদ অভিযান


আগরতলা, ৩০ আগস্ট (হি.স.) : আগরতলার দক্ষিণ জয়পুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় এক অনন্য দৃশ্য দেখা গেল শনিবার ভোরে। দীর্ঘ ৪০- ৪৫ বছর ধরে হাওড়া নদীর তীরে সরকারি জমিতে বসবাসকারী ১৯ পরিবার আজ পুর নিগম, এসডিএম, তহশিলদার ও পুলিশের উপস্থিতিতে সরকারি নোটিশ মেনে হাসিমুখে নিজেরাই ভেঙে দিলেন তাঁদের বসতঘর।

শনিবার সকাল থেকে এই অভিযান শুরু করে দেয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অঙ্গ হিসাবে হাওড়া নদীর বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। সেই মোতাবেক কাজও শুরু হয়। তবে এই অস্থায়ী কলোনির জন্য মাঝ পথে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় এই উচ্ছেদ অভিযান। অভিযান চলাকালীন পুর নিগমের কর্মীরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। পরিবারগুলির সক্রিয় অংশগ্রহণ ও শান্তিপূর্ণ মনোভাব দেখে প্রশাসনও খুশি হয়। উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলির কয়েকজন জানান, এলাকার বিধায়ক তথা মেয়র তাঁদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় কর্পোরেটর নিতু দে গুহ প্রায় প্রতিদিনই খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাই জনপ্রতিনিধিদের মানবিক আচরণ ও সহযোগিতার জন্য তাঁরা আশাবাদী যে শীঘ্রই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে।

উচ্ছেদ হওয়া এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা জানি এই জমি সরকারি। তাই আইন মেনেই আমরা নিজেরাই ঘর ভেঙে দিলাম। এখন শুধু চাই সরকার আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিক।”

ছোট শিশু, বৃদ্ধ ও মহিলাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারের লোকজন জেলা শাসকের নিকট আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের বিশ্বাস, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে নতুন করে জীবনের পথচলা শুরু করতে পারবেন তাঁরা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande