ক্যানিং ,৫ আগস্ট (হি.স.): রাতের ডাউন ৯ টা ৩৮ এর ক্যানিং লোকাল পিয়ালি স্টেশানে এসে পৌঁছতেই কার্যত একদল যুবক আচমকাই ট্রেনে উঠে মারধর শুরু করে। অভিযোগ পিয়ালি স্টেশানে বেশ খানিকক্ষণ ট্রেন দাঁড় করিয়ে রেখে মারধর করা হয়। এমনকি তিন যাত্রীকে নামিয়ে নেওয়াও হয়। আচমকা এই হামলায় অন্তত ২০ জন ট্রেন যাত্রী জখম হয়েছেন। আহতরা সকলেই তারকেশ্বর থেকে ফিরছিলেন।
শ্রাবণ মাস উপলক্ষ্যে গ্রামের বেশ কয়েজন বন্ধু বান্ধব মিলে তারকেশ্বরে গিয়েছিলেন পুণ্যলাভের আশায়। সোমবার রাতে ফেরার ট্রেন ধরেন শিয়ালদহ থেকে। দলে প্রায় চল্লিশ জনের মত ছিলেন। সকলে এক কামড়াতেই ওঠেন। সেই কামড়ায় বালিগঞ্জ থেকে দুই যাত্রী উঠলে তাঁদের সঙ্গে প্রথমে বচসা হয়। বচসা থেমেও যায় কিছুক্ষণের মধ্যে। কিন্তু পুন্যার্থীদের দাবি, ওই দুই যাত্রী ফোনে পিয়ালিতে নিজেদের অনুগামীদের জানিয়ে দেয়। সেই মোতাবেক ট্রেন পিয়ালি স্টেশানে ঢুকলেই আচমকাই হামলা চালানো হয় পুন্যার্থীদের উপর। মারধরের পাশাপাশি তাঁদের তিনজনকে নামিয়ে নেওয়া হয় চলন্ত ট্রেন থেকে। তাঁদেরকে মারধর করে পরের ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। আক্রন্তরা ক্যানিং স্টেশনে এসে রাতেই এ বিষয়ে জি আর পিকে জানায়। কিন্ত অভিযোগ জানালেও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি রেল পুলিশ। আক্রান্ত আকাশ মণ্ডল বলেন, “ আমরা তারকেশ্বর থেকে ফিরছিলাম। আমাদের কাছে বাঁক ছিল। বালিগঞ্জ থেকে দুজন উঠে আমাদের গায়ে পা দিচ্ছিল। বারণ করতে আমাদের বাঁক ভেঙে দেয়। তা নিয়ে ট্রেনের মধ্যে ঝামেলা হয়। ঝামেলা মিটেও যায়। কিন্তু ট্রেন পিয়ালি এলে একদল যুবক ট্রেনে উঠেই আমাদেরকে মারধর করে। আমাদের তিনজনকে নামিয়ে নিয়েও মারধর করে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।” এই ঘটনায় রাতের লোকাল ট্রেনে নিরাপত্তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠল। যদিও এ বিষয়ে রেল পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রাতেই আহতদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা