বালিতে কবি অক্ষয়কুমার দত্তের বাড়ি ভাঙতে জেসিবি নিয়ে হাজির প্রমোটারচক্র
কলকাতা, ১৫ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : বাংলার নবজাগরণের অগ্রপথিক কবি অক্ষয়কুমার দত্তের ২০৫ তম জন্মবার্ষিকীতে সাধের বসতবাটীতে প্রমোটরদের আনাগোনা। হাওড়ার বালিতেই পড়ে রয়েছে বাঙালির গর্ব কবি''র বিশালাকার হেরিটেজ সম্পত্তি। সোমবার তা ভাঙার জন্য প্রমোটারের
বালিতে কবি অক্ষয়কুমার দত্তের বাড়ি ভাঙতে জেসিবি নিয়ে হাজির প্রমোটারচক্র


কলকাতা, ১৫ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : বাংলার নবজাগরণের অগ্রপথিক কবি অক্ষয়কুমার দত্তের ২০৫ তম জন্মবার্ষিকীতে সাধের বসতবাটীতে প্রমোটরদের আনাগোনা। হাওড়ার বালিতেই পড়ে রয়েছে বাঙালির গর্ব কবি'র বিশালাকার হেরিটেজ সম্পত্তি। সোমবার তা ভাঙার জন্য প্রমোটারের লোকজন ঢুকে পড়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই হেরিটেজ ঘোষণা করা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা গঙ্গা তীরবর্তী ওই ভবনের মধ্যেই সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। । যা কিনা এই মুহূর্তে নিয়মবিরুদ্ধ। বালি পুরসভার নবনিযুক্ত প্রশাসক তথা এলাকার বিধায়ক ডা. রানা চ্যাটার্জির কাছেও সেই খবর পৌঁছেছে। ঘটনায় প্রকাশ, জেসিবি মেশিন এলাকায় আনা হয় ও হেরিটেজ ভবন ভাঙার তোড়জোড় চলে ওই অভিযোগ মিলেছে। কাজেই এদিন দুপুরে বালির জিটি রোড সংলগ্ন ওই হেরিটেজ সম্পত্তির বন্ধ গেট খুলে দিয়ে আচমকা জেসিবি মেশিন ঢুকতেই শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন হতবাক। হেরিটেজ সম্পত্তির ভিতরের দিকে থাকা অক্ষয়কুমার দত্তের স্মৃতি বিজড়িত ভবন শোভনোদ্যানের ভিতরে থাকা তাঁর বসতবাড়ী ও তাঁর সংগ্রহশালার ভবনটি ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় বামপন্থী কর্মীরা ও প্রচুর সাধারণ মানুষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ ২০০৬ সালে এই সম্পত্তি হেরিটেজ হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। সম্পত্তির পাশ দিয়ে রয়েছে গঙ্গার ঘাট। রাস্তা এখনও রয়েছে হেরিটেজ কমিশনের বোর্ড। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ অক্ষয়কুমার দত্ত বালিতে গঙ্গার ধারে নিজ বাসভবন ও একটি দুষ্প্রাপ্য জিনিসের সংগ্রহশালা তৈরি করেন। জীবনের শেষ তিনটি দশক তিনি এই বাড়িতেই থেকেছেন। এই বাড়িতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সহ তৎকালীন সময়েই মণীষীদের অনেকেরই নিয়মিত যাতায়াত ছিল। কিন্তু হেরিটেজ ঘোষণার পর থেকেই অক্ষয়কুমারের বাড়ি সংরক্ষণ করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি কোনও সরকার। এই মুহুর্তে একটি নির্মাণ সংস্থা ওই জমিতে বহুতল নির্মাণের উদ্যোগ নিলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। এদিন জেসিবি ঢোকানো নিয়েই প্রতিবাদে সোচ্চার হন সাধারণ মানুষ। সাধারণের দাবি অক্ষয় কুমার দত্তের বাড়িটি হেরিটেজ হিসেবেই থাকা উচিত এবং সেখানে তার স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা হোক। একটি মিউজিয়াম গড়ে উঠলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ইতিহাস জানার ও সুযোগ থাকে ।

হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত




 

 rajesh pande