মালদা, ১৬ সেপ্টেম্বর, (হি.স.): রতুয়া এক নম্বর ব্লকের বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম রতনপুর গ্রামে গঙ্গার বাঁধ ভাঙায় জল তীব্র গতিতে ঢুকতে শুরু করেছে ভূতনি চরে৷ মঙ্গলবার স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় মানুষজন উপদ্রুত কাজে হাত লাগায়।
ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্ন গোটা চর৷ বাড়িঘরেও জল ঢুকেছে৷ গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো উত্তর ভারত ও নেপালে অতিবৃষ্টির কারণে গঙ্গা ও ফুলহর, দুই নদীর জলস্তরই ক্রমশ বেড়েছে৷ ফলে পুজোর মুখে বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভূতনি চরের দেড় লাখেরও বেশি মানুষের৷ পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন৷ দুর্গত এলাকার মানুষজনকে সরকারি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা উঁচু কোনও জায়গায় সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে৷
ইতিমধ্যেই ভাঙা বাঁধের যে অংশ অক্ষত রয়েছে, তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে সেচ দফতর৷ তবে চরবাসীর প্রশ্ন, কিছুদিন আগে ছ’কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে এই বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল৷ বাঁধ যাতে কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না-হয় তার জন্য শালবল্লা পুঁতে অস্থায়ী রিং বাঁধও তৈরি করা হয়েছিল৷ তারপরেও কেন বাঁধ বাঁচানো গেল না? শালবল্লার অস্থায়ী রিং বাঁধ ছাপিয়ে এখন গঙ্গার জল ঢুকছে চরে৷ এখন গঙ্গা আর ফুলহর, দুই নদীর বাঁধভাঙা জলে ত্রাহি রব উঠেছে ভূতনি চর জুড়ে। প্রসঙ্গত, এক মাস দু’দিন আগেই বিপর্যয় নেমে এসেছিল ভূতনি চরে৷ জলের প্রবল চাপে মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটা বাঁধ এলাকায় উড়ে গিয়েছিল ফুলহরের বাঁধ।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত