শনিবার লেন হাটনের প্রয়াণ দিবস
ইয়র্কশায়ার, ৪ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : স্যার লিওনার্ড লেন হাটন। শনিবার তাঁর মৃত্যুদিন ( ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯০)। ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ফালনেক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ১৯১৬ সালের ২৩ জুন বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও দল নির্বাচক ছিলেন। ক্রিকেটব
বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান লেন হাটনের শনিবার প্রয়াণ দিবস


ইয়র্কশায়ার, ৪ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : স্যার লিওনার্ড লেন হাটন। শনিবার তাঁর মৃত্যুদিন ( ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯০)। ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ফালনেক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ১৯১৬ সালের ২৩ জুন বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও দল নির্বাচক ছিলেন। ক্রিকেটবোদ্ধাদের মতে, তিনি ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। ১৯৫২ সালে বিংশ শতকের প্রথম পেশাদার ক্রিকেট অধিনায়ক হন। তাঁর অধিনায়কত্বে ১৯ বছর পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ জয় করে ইংল্যান্ড দল। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর সর্বাপেক্ষা বৃহৎ অর্জন ছিল ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ৩৬৪ রান সংগ্রহ করা। এ রান সংগ্রহ করতে তিনদিনে তাঁকে ১৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিট খরচ করতে হয়েছিল। প্রায় দুই দশককাল তাঁর এ রেকর্ড স্থায়ী ছিল। আজো ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান হিসেবে চিত্রিত আছে। অদ্যাবধি লেন হাটন অবিস্মরণীয় ব্যাটসম্যানরূপে চিহ্নিত হয়ে আছেন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫৫.৫১ গড়ে ১২৯ সেঞ্চুরি সহযোগে ৪০,১৪০ রান তোলেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত লেন হাটন ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করেন। ২৩ টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের সময় দল আট টেস্টে জয় পায় ও চার টেস্ট হেরে যায়। বাদবাকী খেলাগুলো ড্রয়ে পরিণত হয়। ৭৯ টেস্টে ১৯ সেঞ্চুরিতে ৫৬.৬৭ গড়ে রান করেন ৬,৯৭১ তিনি।

১৯৫৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ওই বছরই তিনি নাইটহুড খেতাবে ভূষিত হন। ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেন হাটন। ১৯৫৫ সালের পর লন্ডনভিত্তিক ইভনিং নিউজে ১৯৬৩ পর্যন্ত লিখতেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট দলের নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন। তারপরও তিনি ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত রেখেছিলেন নিজেকে। সারে ক্রিকেট দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকেন কিন্তু ইয়র্কশায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করেন। এ প্রেক্ষিতে জানুয়ারি, ১৯৯০ সালে ইয়র্কশায়ার দলের সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেপ্টেম্বর, ১৯৯০ সালে ওভালে খেলা দেখার সময় গুরুতর অসুস্থতা অনুভব করেন। এর কিছুদিন পর ৭৪ বছর বয়সে ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯০ তারিখে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / শান্তি রায়চৌধুরি




 

 rajesh pande