জলপাইগুড়ি, ১৬ অক্টোবর
(হি.স.): জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানায় বুধবার গভীর রাতে এক বিচারাধীন বন্দির
মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার
করা হয়েছিল। সে গভীর রাতে পুলিশ লকআপে আত্মহত্যা করে। তবে বিচারাধীন ব্যক্তির
আত্মহত্যার ধরণ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, হোটেল কর্মচারী
প্রসন্ন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিত্রী রায়কে
মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছিল। শনিবার জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
ওই মহিলার মৃত্যুর পর প্রসন্ন কুমার রায়কে গ্রেফতার করা হয়।
ধূপগুড়ি থানার পুলিশ তাকে আদালতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়। তখন
থেকে সে লকআপে রয়েছে। বুধবার সে বন্দিদের দেওয়া কম্বলের দড়ি দিয়ে
আত্মহত্যার চেষ্টা করে। লকআপের অন্যান্য বন্দিরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে
পুলিশকে খবর দেয়। পরে তাকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে
ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্রসন্নের
ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, কিন্তু তার শরীরে অন্য কোনও আঘাতের
চিহ্ন নেই। তাই, তারা মেনে নিতে পারছেন না যে তিনি আত্মহত্যা
করেছেন। তবে, জেলা পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা এই
বিষয়ে কিছু জানাননি। বন্দির মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি