ত্রিপ্রাসা সিভিল সোসাইটির বনধকে রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার ফল বললেন এমডিসি পদ্মলোচন ত্রিপুরা
আগরতলা, ১৯ অক্টোবর (হি.স.) : আগামী ২৩ অক্টোবর ত্রিপ্রাসা সিভিল সোসাইটি নামক একটি সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘণ্টার ত্রিপুরা বনধকে তীব্র সমালোচনা করলেন তিপ্রা মথা সমর্থিত ত্রিপুরা আদিবাসী স্বশাসিত জেলা পরিষদের (টিটিএএডিসি) এমডিসি পদ্মলোচন ত্রিপুরা। তাঁর বক্তব্
এমডিসি পদ্মলোচন ত্রিপুরা


আগরতলা, ১৯ অক্টোবর (হি.স.) : আগামী ২৩ অক্টোবর ত্রিপ্রাসা সিভিল সোসাইটি নামক একটি সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘণ্টার ত্রিপুরা বনধকে তীব্র সমালোচনা করলেন তিপ্রা মথা সমর্থিত ত্রিপুরা আদিবাসী স্বশাসিত জেলা পরিষদের (টিটিএএডিসি) এমডিসি পদ্মলোচন ত্রিপুরা। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, সরকারে থেকেও সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে তিপ্রা মথার এমন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতারই পরিচয়।

রবিবার এক প্রতিক্রিয়ায় পদ্মলোচন ত্রিপুরা বলেন, “একটি এনজিওর নামে বনধ ডাকা হলেও, এর নেতৃত্বে রয়েছেন তিপ্রা মথার এক বিধায়ক। ফলে স্পষ্ট, মথার নেতৃত্বই এই বনধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। সরকারে থেকেও এভাবে বনধ ডাকা উচিত নয়।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে, যা সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনৈতিক পদক্ষেপ।

পদ্মলোচন ত্রিপুরা মথা নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নিজেদের সরকারকে কলঙ্কিত করার পথে হাঁটা ঠিক নয়। রাজনৈতিক অপরিপক্বতার কারণে তারা জনস্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।” তিনি বনধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য তিপ্রা মথা নেতৃত্বকে অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, বেআইনি অনুপ্রবেশ রোধ, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণ ও নিজ দেশে ফেরত পাঠানোসহ কয়েকটি দাবিকে সামনে রেখে প্রথমে ১৩ অক্টোবর ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল ত্রিপ্রাসা সিভিল সোসাইটি। তবে উৎসবের মরশুমের কারণে তা পিছিয়ে ২৩ অক্টোবর ২৪ ঘণ্টার বনধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই বনধকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande