দুর্গাপুর, ১৫ অক্টোবর (হি. স.) : ডাক্তারি পড়ুয়ার উপর বহুতর দাবি-অভিযোগের পর রাজ্য জুড়ে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র আলোচনা উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে এবার অনন্য উদ্যোগ দেখালেন দুর্গাপুরের উদ্যোগী ছোটন ঘোষ। নিজেই বানানো একটি শক-বন্দুক বা টিজারগান প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন তিনি। ছোটন দাবি করেন, প্রতিটি মহিলার কাছে এই ধরনের ডিভাইস থাকা দরকার, সেটি আত্মরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ছোটন জানান, তাদের পরীক্ষা-করা এই টিজারগানে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে; একবার চার্জ দিলে নিয়মিত ব্যবহারে কয়েক সপ্তাহ চলবে বলে তিনি দাবি করেছেন। প্লাস্টিকের ভেতর তৈরি ডিভাইসটি ঘনিষ্ঠ দূরত্বে আক্রমণকারীকে সাময়িকভাবে অক্ষম করে দিতে সক্ষম—এমনটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, বলেন তিনি। ছোটন জোর দিয়ে বলেন, “এটি প্রাণঘাতী নয় এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নয়; শুধু আঘাতকারীকে কিছুক্ষণ বিহ্বল করে ধরে ফেলার উপযোগী।”
দুর্গাপুরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুবচুরুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছোটন ঘোষের প্রযুক্তি বানানোর আগ্রহ নতুন নয়। গ্যারেজ ও যন্ত্রাংশ নিয়ে বেড়ে ওঠা ছোটন আগে সৌরচালিত বাইক, রিমোট কন্ট্রোল চন্দ্রযান ও বিভিন্ন ধরনের ড্রোন তৈরি করে নজির সৃষ্টি করেছেন। এবারও তিনি দুই দিনের মধ্যেই টিজারগানের এক প্রটোটাইপ তৈরি করে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন বলে জানালেন।
ছোটন বলেন, “কিছু দুষ্কৃতি ঘটনার কারণে শহর কলঙ্কিত হয়েছে। যদি নির্যাতিতা নিজে আত্মরক্ষা করতে পারত, হতে পারত না এমন অনেক দুর্ভাগ্য। তাই এমন ডিভাইস বানানোর চিন্তা মাথায় এসেছিল। যাতে মহিলারা সহজেই নিজে বাঁচতে পারে।” ঘটনায় জনগণের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকেই ছোটনের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও কেউ কেউ জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ন্যায়বিচার ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ অপেক্ষাও জরুরি। পুলিশের কাছে ঘটনার রিপোর্ট ও আইনি পরামর্শ নিয়ে টিজারগান ব্যবহারের নিয়ম-কানুন ও ক্ষমতা-সীমা স্পষ্ট করা দরকার বলে বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা