আগরতলা, ১৬ অক্টোবর (হি.স.) : হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের নামে দেশের সম্পদ ও জমি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়াই বিজেপির মূল লক্ষ্য বলে অভিযোগ তুললেন সিপিআই(এম)-এর পলিটব্যুরো সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। বৃহস্পতিবার আগরতলার মুক্তধারা হলে আয়োজিত ‘দশরথ দেববর্মা স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই নীতির ফলেই দেশের সংবিধান ও ঐক্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন রাজ্যে।
তিপ্রা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য দেববর্মাকে কটাক্ষ করে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, “প্রদ্যোত সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন ২০২৮ সালে ত্রিপুরায় একজন তিপ্রাসা (জনজাতি) মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, এর ভিত্তি কোথায়? বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত?”
তিনি আরও বলেন, “মথা গঠনের পর থেকে প্রদ্যোত একের পর এক স্লোগান দিয়েছেন— ‘গ্রেটার তিপরাল্যান্ড’, ‘ওয়ান লাস্ট ফাইট’, ‘নো কম্প্রোমাইজ’ ও ‘তিপ্রাসা চুক্তি’। কিন্তু আজ সেগুলির কোন কার্যকারিতা নেই, মানুষ সেগুলি ভুলে যেতে শুরু করেছে।”
অসমের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, “ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনকে ঘিরে অসমে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। চা শ্রমিক জনজাতি মানুষরা তপশিলি জনজাতি মর্যাদার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। তাঁদের দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই স্বীকৃতি দিতে হবে।”
দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং বেকারত্বকেও বর্তমান আন্দোলনের মূল কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন তিনি। জিতেন্দ্র চৌধুরীর বক্তব্য, “মানুষ আজ অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আসলে হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের আড়ালে দেশের সম্পদ কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়াই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে এখন জনগণকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।”
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ