আবারও বাচ্চাদের মধ্যে বাড়ছে পাবজি–র গেমের নেশা
পশ্চিম সিংভূম, ১৭ অক্টোবর (হি.স.) : পশ্চিম সিংভূম জেলার লোহা নগরী কিরিবুরু এক নতুন সমস্যায় ভুগছে। আবারও বাচ্চাদের মধ্যে বাড়ছে পাবজি গেমের নেশা। এক সময় যারা বই ও খেলাধুলায় দিন কাটাত, আজ তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলের স্ক্রিনে ডুবে থাকে। শুক্রবার জানা
আবারও বাচ্চাদের মধ্যে বাড়ছে পাবজি–র গেমের নেশা


পশ্চিম সিংভূম, ১৭ অক্টোবর (হি.স.) : পশ্চিম সিংভূম জেলার লোহা নগরী কিরিবুরু এক নতুন সমস্যায় ভুগছে। আবারও বাচ্চাদের মধ্যে বাড়ছে পাবজি গেমের নেশা। এক সময় যারা বই ও খেলাধুলায় দিন কাটাত, আজ তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলের স্ক্রিনে ডুবে থাকে। শুক্রবার জানা গেছে , অ্যাপেক্স অফিসের পেছনের জঙ্গল এখন যেন “গেমিং জোন”-এ পরিণত হয়েছে, যেখানে কিশোররা লুকিয়ে অনলাইনে ভার্চুয়াল খেলায় ব্যস্ত থাকে।

এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহুবার বাচ্চাদের বোঝানোর চেষ্টা করে জঙ্গল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তারা আবার ফিরে আসে। নানান রকমের কীট-পতঙ্গ ,সাপ ও জঙ্গলের বিপদকে উপেক্ষা করেই তারা মোবাইল হাতে “ভার্চুয়াল খেলা”-য় মগ্ন থাকে।

প্রসঙ্গত মনোবিদদের মতে, পাবজি-র মতো সহিংস গেম শিশুদের মনোযোগ, আচরণ এবং পড়াশোনার ক্ষমতার উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। এতে তাদের মধ্যে খিটখিটে মনোভাব বাড়ছে, আর সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হচ্ছে। এখন স্কুলে “ডিজিটাল আসক্তি” নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর দাবি জোরদার হয়েছে। শিক্ষক ও সমাজকর্মীদের মতে, অভিভাবকরা যদি শিশুদের মোবাইল ব্যবহারে সীমা নির্ধারণ করেন এবং তাদের খেলাধুলা, সংগীত বা সৃজনশীল কাজে যুক্ত করেন, তবে এই নেশা ধীরে ধীরে কমানো সম্ভব।

সমাজসেবক ও শিক্ষক এস. কে. পাণ্ডে সতর্ক করে বলেন, “এটা শুধু একটি গেম নয়, শিশুদের ভবিষ্যতের সঙ্গে খেলা।” তিনি আরও বলেন , “সময় থাকতে পরিবার, সমাজ ও স্কুলকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে নিরীহ শৈশবকে এই ডিজিটাল নেশা থেকে রক্ষা করা যায়।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য




 

 rajesh pande