ঝাড়গ্রাম, ১৭ অক্টোবর (হি.স.) : সাঁকরাইল ব্লকের বাকড়া এলাকায় জমি বেহাতের ঘটনায় উত্তেজনা অব্যাহত। রেজিস্টার প্রধানের গ্রেফতার এবং প্রকৃত মালিকদের নামে দলিল ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরে বিক্ষোভ মিছিল করলেন গ্রামবাসীরা।
এদিন শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরে যান স্থানীয়রা। পথে মাইকিং করে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের অভিযোগ, এত বড় জমি জালিয়াতি রেজিস্টারের ভূমিকা ছাড়া সম্ভব নয়। তাই ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। পরে এক প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের হাতে দাবিপত্র তুলে দেয়।
উল্লেখ্য, বাকড়া এলাকায় প্রায় ১২৫টি পরিবারের ৪০০ একর জমি জালিয়াতি করে অন্যের নামে দলিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ সুপার ১৯ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গঠন করেন। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে মামলার নথি তলবের পাশাপাশি ধৃত দেবাংশু পাহাড়ি, সঞ্জয়কুমার দাস ও সুজিত কুঙরকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এই জমি কান্ড ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও চড়েছে। এলাকায় প্রথমে বাম ও বিজেপি পথেঘাটে নেমে প্রতিবাদ জানায়, পরে তৃণমূলও আন্দোলনে নামে। গোপীবল্লভপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি চূড়ামণি মাহাতো মুখ্যসচিব ও ভূমি দফতরকে লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও লিখিত আর্জি জানান।চাষিদের জমি ফেরানো ও দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে।
এদিনের মিছিলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে অনেক মহিলাও ছিলেন। তাঁদের দাবি, দ্রুত দলিল ফেরত না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। বাকড়া গ্রামের দিল্লেশ্বর মাহাতো বলেন, “এক মাস কেটে গেল, মূল মাথারা এখনও ধরা পড়েনি। এত বড় রেজিস্টার ছাড়া সম্ভব নয়। প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে জমির মালিকদের দলিল ফেরাতে হবে।” জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি পুলিশের তদন্তাধীন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো