কলকাতা, ১৭ অক্টোবর, (হি.স.): শুক্রবার ‘স্বদেশী সবার ঘরে, স্বদেশী অন্তরে’ কর্মসূচির সূচনা করলেন সাংসদ এবং এই কর্মসূচির আহ্বায়ক জগন্নাথ সরকার। তিনি শুরুতেই আত্মনির্ভরতার বিষয়ে বলেন। তিনি বলেন, আত্মনির্ভরতা খুব জরুরি একটি বিষয়। তার জন্য আত্মবিশ্বাস খুব জরুরি।
আর সেটা তৈরি করতে গেলে আমাদের অতীত জানতে হবে এবং ভবিষ্যতের দিকে এগোতে হবে। ভারতবর্ষকে ভবিষ্যতে শ্রেষ্ঠ করে তুলতে গেলে আমাদের অন্যতম হাতিয়ার স্বদেশী। যদিও স্বদেশীর ধারণা বর্তমানে অনেকটাই আলাদা।
আমরা কিছু বর্জন করার কথা বলব না, বরং আমাদের দেশে তৈরি, ভারতের শ্রমিকের সময়, শ্রম, ঘাম রয়েছে, যার সঙ্গে দেশের অর্থনীতি জড়িয়ে রয়েছে সেটাই স্বদেশী। এর মধ্যে রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। যা ব্যবহার করে ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে মজবুত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমাদের কার্যকর্তাদের নিয়ে এক কর্মসূচি আমরা নিয়েছি।
২৫ সেপ্টেম্বর, পণ্ডিত দীন দয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম দিবস থেকে ২৫ ডিসেম্বর অটল বিহারী বাজপেয়িজির জন্মদিবস পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এতে আমরা যেমন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাব তেমনি আমাদের বক্তারাও বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য রাখবেন।
আজ মোট ১০০ জনের এই বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ হল। পরবর্তীতে অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের মাঝে সেই বার্তা তুলে ধরবেন। এর আগে প্রদেশের কর্মশালা হয়েছে। জেলায় হয়েছে, মন্ডলেও প্রায় সমাপ্ত। এরপর বিধানসভা ভিত্তিক হবে এবং স্বদেশী মেলাও হবে।
আমাদের লক্ষ্য হল ‘ভোকাল ফর লোকাল’। যে জায়গার যে জিনিসটা বিখ্যাত যেমন কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল, শান্তিপুর, ধনেখালির শাড়ি সহ প্রতিটি জেলার রয়েছে নিজস্ব জিনিস। সেগুলিকে সম্মিলিতভাবে স্বদেশী মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে এবং সেগুলি বাজারজাত করার ব্যবস্থাও থাকবে। স্থানীয় অর্থনীতিকে মজবুত করার জন্য এই প্রচেষ্টা থাকবে।
এরপর তাঁরা স্বদেশী সবার ঘরে, স্বদেশী অন্তরে এই কর্মসূচির লোগো সবার সামনে প্রকাশ করেন। এই লোগো তুলে ধরেন। এটি কোনও রাজনৈতিক কাজ নয়, অর্থনীতিকে মজবুত করার কাজ। পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতি, স্বাভিমানকে অটুট রেখে আমরা এগিয়ে যাব।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত