যতো দ্রুত সম্ভব দীঘার মন্দিরের নর্দমার ম্যানহোলের ঢাকনা বদলের আর্জি তথাগতর
কলকাতা, ১৭ অক্টোবর, (হি.স.): “যতো দ্রুত সম্ভব এই নর্দমার ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো পরিবর্তন করবার নির্দেশ দিন।” দীঘার মন্দির প্রসঙ্গে এ কথা বললেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। শুক্রবার তিনি এক্সবার্তায় লিখেছেন, “দীঘা জগন্নাথ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে'' দুষিত
দীঘার মন্দিরের নর্দমার ম্যানহোলের ঢাকনা


কলকাতা, ১৭ অক্টোবর, (হি.স.): “যতো দ্রুত সম্ভব এই নর্দমার ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো পরিবর্তন করবার নির্দেশ দিন।” দীঘার মন্দির প্রসঙ্গে এ কথা বললেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।

শুক্রবার তিনি এক্সবার্তায় লিখেছেন, “দীঘা জগন্নাথ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে' দুষিত ও অপরিষ্কার জল নির্গমনের জন্যে যে নর্দমা রয়েছে, তার ম্যানহোলের ঢাকনার ওপর ইংরেজিতে 'জগন্নাথ' লেখা! ভ্রমণার্থীদের থেকে শুরু করে, সাফাই কর্মী, পুলিশকর্মীরা সবাই তা চলা ফেরার সময় পায়ে মাড়াচ্ছে!

দোষ তাদের না, তাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব না, দোষ আপনার সরকারের যারা ওখান থেকে আসা আয়কে কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে পুরোটাই নিজেদের অধীনে রেখেছেন। এই ঢাকনাগুলো আপনাদের আদেশ (অর্ডার) অনুযায়ী নির্ধারিত উপায়ে বানানো, কারণ এই নামে কোনো ম্যানহোলের ঢাকনা বাজারে পাওয়া যায় না।

তাই 'হিন্দু বিরোধী' তকমা মুছতে হলে আগে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করুন, কয়েক মাস অভ্যাস করুন সনাতনী সংস্কৃতি রীতিনীতি বোঝার, তার পর বড় বড় কথা বলবেন।”

এর আগে তথাগতবাবু লিখেছেন, “আজকাল 'হিন্দু বিরোধী' তকমা মুছে ফেলতে মাননীয়া নানান রকম উদ্যোগের ঘোষণা করে চলেছেন, কখনো নিউটাউনে দুর্গাঙ্গন তো কখনো শিলিগুড়িতে মহাকাল মন্দির তৈরির কথা বলছেন। সবই অবশ্য সরকারি খরচে, ও সরকারি নিয়ন্ত্রণে।

ঠিক যেমন হিডকো অধীনস্থ 'দীঘা জগন্নাথ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র'। ওনার কথায়' জগন্নাথ ধাম'!

কিন্তু, কথায় বলে না, 'কয়লা ধুলে যেমন ময়লা যায় না ঠিক তেমনি মানুষের স্বভাব কখনো পাল্টায় না'।

যতোই আপনি মন্দির বানানোর ঘোষণা করুন না কেনো, আপনি যে বদলাননি আর আপনার পক্ষে যে বদলানো সম্ভব না, তা আবার প্রমাণিত। আপনি এখনো সনাতনী ভাবাবেগ কে কিভাবে হেয় করা যায় সেই দিকে প্রাধান্য দেন, আপনার ভোট ব্যাংক'কে তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে। ক্ষমা করো মহাপ্রভু”।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande