নাগরাকাটা, ১৭ অক্টোবর (হি. স.) : জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বামনডাঙ্গা থেকে শুক্রবার আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার হল । চা বাগানে বন্যায় প্লাবিত হয়ে নিখোঁজ হয় দু জন, তার মধ্যে বছর তিনেকের শিশু নিভভিয়ান্স নায়েক। মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। বামনডাঙা চা বাগানের মডেল ভিলেজ থেকে দু কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় দেহটি। এই নিয়ে ১১ টি মৃতদেহ উদ্ধার হল। সপ্তাহ দুয়েক আগেই নাগরাকাটা গাঠিয়া নদীর টানাটানি সেতু সংলগ্ন এলাকায় আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্যার রাতে লোকসান এলাকা থেকেও জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকজন। নিখোঁজদের মধ্যে ছিলেন আমিনা খাতুন। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি তারই। পরিবারকে খবর জানানো হয়েছে। তবে সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক। প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার ও ত্রাণকাজে নেমেছেন।
বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার এখন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। মৃতদের পরিবার পিছু এক জনকে পুলিশে, হোমগার্ডে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের উচ্চতার ক্ষেত্রেও বেশ কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে জানিয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্য়েই সেই নামের তালিকা তৈরি করছেন জেলাশাসক। তবে এই দুর্যোগে ভুটান থেকে দেহ ভেসে বাংলায় চলে এসেছে। সেই দেহ উদ্ধার করে সেই রাজ্যের সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তা শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি