গুয়াহাটি, ১৮ অক্টোবর (হি.স.) : ‘বডোল্যান্ড পিপলস্ ফ্রন্ট’ (বিপিএফ)-এর নেতা চরণ বড়োকে অন্তর্ভুক্ত করে অসম মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। আজ শনিবার রাজভবনে এক গাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে চরণ বড়োকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে পদ ও গোপনীয়তার শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য।
ভারতের সংবিধানের ১৬৪ অনুচ্ছেদের (১) ধারার অধীনে অর্পিত ক্ষমতা বলে আজ সকাল ১১টায় রাজভবনে ব্রহ্মপুত্র শাখায় অনুষ্ঠিত একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে মাজবাটের বিধায়ক চরণ বড়োকে পদ ও গোপনীয়তার শপথ পাঠ করিয়েছেন লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য।
রাজভবনে নতুন পরিষদীয় মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা, বিপিএফ-প্রধান হাগ্রামা মহিলারি রাজ্যের সব মন্ত্রীগণ, সাংসদ দিলীপ শইকিয়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটা, কয়েকজন বিধায়ক, মুখ্যসচিব ড. রবি কোটা, সরকারি উপদেষ্টা, ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
প্রায় সাড়ে চার বছর বিরোধী দলে থেকে সদ্যসমাপ্ত বিটিসি নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের শরিক হয়েছে বডোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট। এনডিএ জোটে শরিক হওয়ার পর আজ রাজ্য মন্ত্রিসভায় চরণ বড়োর অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। এই পদক্ষেপকে আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটি কৌশলগত অবস্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কটন কলেজের স্নাতক এবং গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর চরণ বড়োকে বিপিএফ-এর প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ নেতাদের একজন বলে মনে করা হয়। ২০১৬ সালে প্রথম রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে মাজবাট আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন চরণ। এর পর ২০২১ সালে একই আসনে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি। বিটিসি নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তিনি বিরোধী বেঞ্চে বসতেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস