মূর্তিপাড়ায় শেষ মুহূর্তের ছোঁয়া, দীপাবলির আলোয় সেজে উঠছে আগরতলা
আগরতলা, ১৮ অক্টোবর (হি.স.) : আর মাত্র দুই দিন বাকি আলোর উৎসব দীপাবলির। উৎসবকে ঘিরে রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের সর্বত্র জমে উঠেছে প্রস্তুতি। একদিকে মূর্তিপাড়ায় চলছে প্রতিমা গড়ার শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা, অপরদিকে শহরের গলি থেকে রাজপথ সেজে উঠছে রঙিন আল
আলোকসজ্জা আগরতলায়


আগরতলা, ১৮ অক্টোবর (হি.স.) : আর মাত্র দুই দিন বাকি আলোর উৎসব দীপাবলির। উৎসবকে ঘিরে রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের সর্বত্র জমে উঠেছে প্রস্তুতি। একদিকে মূর্তিপাড়ায় চলছে প্রতিমা গড়ার শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা, অপরদিকে শহরের গলি থেকে রাজপথ সেজে উঠছে রঙিন আলোর মালায়।

সোমবার পালিত হবে আলোর উৎসব দীপাবলি। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, এই দিনেই ভগবান রামচন্দ্র ১৪ বছরের বনবাস শেষে অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করেন। সেই শুভ দিনটিকে স্মরণে রাখতে মানুষ দীপ প্রজ্বলন করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি, অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক হিসেবেই এদিন কালীপুজোরও আয়োজন করা হয়। বাঙালি সংস্কৃতিতে দীপাবলির কালীপুজো একটি বিশেষ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে।

পুরাণ মতে, এই দিনেই দেবী কালী রাক্ষস রক্তবীজের তাণ্ডব থেকে বিশ্বজগৎকে রক্ষা করেন। তারই স্মৃতিতে আজও দীপাবলির রাতে কালীপুজো পালিত হয়।

রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে চলছে কালীপুজোর প্রস্তুতি। শহরের মৃৎশিল্পীরা এখন ব্যস্ত প্রতিমা গড়ার কাজে। দুর্গা ও লক্ষ্মীপূজার পর অল্প সময়ের ব্যবধানে কালী প্রতিমা তৈরিতে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়েছেন তাঁরা।

এক মৃৎশিল্পী জানান, “সময়ের অভাব ও আবহাওয়ার অনিশ্চয়তার কারণে কাজ শেষ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছোট প্রতিমার চাহিদা এবার বেশি, তবে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচও অনেক বেড়েছে।”

এদিকে দীপাবলিকে সামনে রেখে রাজধানীর অলিগলি, বাজার ও প্রধান সড়কগুলি সাজানো হয়েছে আলোর মালায়। পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠছে কালীপুজোর মণ্ডপ, চলছে আলোকসজ্জার শেষ মুহূর্তের কাজ। সন্ধ্যার পর আলোকিত আগরতলা যেন এক নতুন শহরের রূপ নিচ্ছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande