কুমারঘাট (ত্রিপুরা), ১৮ অক্টোবর (হি.স.) : সোমবার আলোর উৎসব দীপাবলি ও শ্যামাপুজো। উৎসবের আগমনে শহর থেকে গ্রাম — সর্বত্রই এখন প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট শহরেও চলছে শ্যামাপুজো উপলক্ষে জোরকদমে প্রস্তুতি। শহরের মুক্তি সূর্য ক্লাব এবছর আয়োজন করছে শ্যামাপুজো।
ক্লাব সদস্য পলাশ রায় জানান, প্রতিবছরের মতোই এবছরও সামাজিক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আয়োজিত হয়েছে এই পুজো। “স্বস্তিকালয়ে দেবী বরণ” — এই থিমের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে পুজোমণ্ডপ। বিশালগড়ের শিল্পীদের হাতে ফুটে উঠেছে মনোরম মণ্ডপ, যার ভেতরে থার্মোকল শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বিষ্ণুর দশ অবতারের রূপ। বাহারি আলোকসজ্জায় সেজে উঠছে পুরো পুজো প্রাঙ্গণ।
পলাশ রায় আরও জানান, এবছরের পুজোর মোট বাজেট প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। প্রশাসনিক নিয়মে রাস্তা থেকে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তোলায় বিধি-নিষেধ থাকায় কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন আয়োজকরা। তবে ক্লাব সদস্য ও স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তাতেই এগিয়ে চলছে আয়োজনের সমস্ত প্রস্তুতি।
পুজোর দিন দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা, পাশাপাশি সামাজিক কর্মসূচিরও আয়োজন করা হবে বলে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ক্লাব সদস্যদের আশা, শুধু কুমারঘাট নয়, আশপাশের এলাকা থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় জমাবেন এই পুজো দেখতে।
বর্তমানে ক্লাব প্রাঙ্গণে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জার কাজ। শহরবাসীর কাছে মুক্তি সূর্য ক্লাবের এই শ্যামাপূজো এখন এক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। আলোর উৎসবকে ঘিরে কুমারঘাটজুড়ে এখন শুধু সাজো সাজো রব।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ