অর্ধাকারে জেগে রয়েছেন দেবী মাকড়চন্ডী
হাওড়া, ১৯ অক্টোবর (হি.স.): পুরোহিতের অনুরোধে এখানে বিশাল মাতৃমূর্তি ছোট হয়ে পূজিত হচ্ছেন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। লোকশ্রুতি, এক বণিক স্বপ্নাদেশ পেয়ে সরস্বতী তীরবর্তী জঙ্গলে পাতাল ফুঁড়ে ওঠা চন্ডী মূর্তিকে পুজো করেন। কয়েক হাজার বছর আগে শ্রীমন্ত
অর্ধাকারে জেগে রয়েছেন দেবী মাকড়চন্ডী


হাওড়া, ১৯ অক্টোবর (হি.স.): পুরোহিতের অনুরোধে এখানে বিশাল মাতৃমূর্তি ছোট হয়ে পূজিত হচ্ছেন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। লোকশ্রুতি, এক বণিক স্বপ্নাদেশ পেয়ে সরস্বতী তীরবর্তী জঙ্গলে পাতাল ফুঁড়ে ওঠা চন্ডী মূর্তিকে পুজো করেন। কয়েক হাজার বছর আগে শ্রীমন্ত সদাগর দেবী চন্ডী মায়ের পুজো প্রচলন করেন নদী তীরবর্তী জঙ্গলে। এখানে তিনি দেবী মাকড়চন্ডী নামে পরিচিত। প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা রীতি মেনেই পূজিত হচ্ছেন হাওড়ার ডোমজুড় মাকড়দহে মাকড়চন্ডী।

জনশ্রুতি, আগে চণ্ডীর মূর্তি ছিল বিশাল আকারের। মায়ের গলায় মালা ও ফুল চন্দন দিতে লাগাতে হত মই। তবে সেই বিশাল মূর্তির মাথায় দেওয়া জল পুরোহিতের পায়ে পড়ত। জাগ্রত মা চণ্ডীর মাথার জল পুরোহিতের পায়ে পড়ে পুরোহিত পাপের ভাগীদার হচ্ছেন, একথা পুরোহিত প্রতিদিন মাকে জানাতেন। পুরোহিতের কথা শুনে মা মাকড়চন্ডী একদিন পাতালে প্রবেশ করতে থাকেন। পুরোহিত তা দেখে মূর্তিকে জড়িয়ে ধরেন, সেই থেকেই মাকড়দহের মাকড়চন্ডীর দেহ অর্ধ আকারে জেগে রয়েছে উপরে। প্রাচীন কাল থেকে এভাবেই পূজিত হচ্ছেন মা।

মাকড়চণ্ডী দেবীকে নিয়ে বিভিন্ন জনশ্রুতি আছে। আবার নামের উৎস নিয়েও মতানৈক্য আছে। একটি মতে, মার্কন্ডেয় পুরাণের চণ্ডী থেকে মাকড়চণ্ডীর নামকরণ। অন্যমতে, সরস্বতী নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় একসময়ে এই অঞ্চলে প্রচুর মকর বা কুমীর ছিল। নদীপথে সওদাগররা কুমীরের উৎপাত থেকে বাঁচতে মকরচণ্ডীর পুজোর শুরু করেন। যা পরবর্তীকালে মাকড়চণ্ডী নাম হয়। শোনা যায়, স্বপ্নাদেশ পেয়ে মাকড়চণ্ডী দেবীর মন্দির নির্মাণ করেন মৌড়ির জমিদার রমাকান্ত কুণ্ডুচৌধুরি। প্রতি বছর পঞ্চম দোলের দিন চাঁচর উৎসব ও বাজি পোড়ানোর রীতি রয়েছে এখানে। মাকড়চন্ডী মায়ের মন্দিরের সঙ্গেই রয়েছে শিব মন্দির।

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande