ভৈরবীচরণের প্রয়াত মেয়ে শঙ্করী-ই হয়ে উঠলেন আন্দুলের অধিষ্ঠাত্রী শ্রীশ্রীশঙ্করী-সিদ্ধেশ্বরী কালী
হাওড়া, ১৯ অক্টোবর (হি.স.): সাধক ভৈরবীচরণ ভট্টাচার্যর পাণ্ডিত্য ছিল বাল্যকাল থেকেই। জানা যায়, তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্যই একদা আন্দুলকে দক্ষিণের নবদ্বীপ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। ভৈরবীচরণের বাড়ির কাছেই মহাকাল শিবমন্দিরের নীচে ছিল এক গুহা। সেখানেই পঞ্চমুণ


Kali Puja 

 
হাওড়া, ১৯ অক্টোবর (হি.স.): সাধক ভৈরবীচরণ ভট্টাচার্যর পাণ্ডিত্য ছিল বাল্যকাল থেকেই। জানা যায়, তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্যই একদা আন্দুলকে দক্ষিণের নবদ্বীপ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।

ভৈরবীচরণের বাড়ির কাছেই মহাকাল শিবমন্দিরের নীচে ছিল এক গুহা। সেখানেই পঞ্চমুণ্ডীর আসনে বসে সাধনা করতেন তিনি। লোকশ্রুতি, একবার সাধনা করে দেবী কালীর দর্শন পেয়েছিলেন ভৈরবীচরণ। সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে বর প্রার্থনা করেছিলেন, তাঁর বংশে সবাই যেন 'না পড়ে পণ্ডিত' হতে পারে। কিছুদিন পর ভৈরবীচরণ সরস্বতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে দেখেন এক ছোট্ট বালিকা স্বল্প বালি দিয়ে নদীর জল আটকানোর চেষ্টা করছে। কৌতুকবশত ভৈরবীচরণ বালিকাটিকে বলেছিলেন, ওরে বেটি, এই বালি দিয়ে কি আর জল আটকানো যায়? তৎক্ষণাৎ সেই শিশু বালিকা ভৈরবীচরণকে নাকি পাল্টা এই কথা বলে অন্তর্হিত হয়েছিল, তাহলে না পড়ে কি কেউ পণ্ডিত হয়! সাধক বুঝেছিলেন, সেই বালিকা ছিলেন তাঁরই ইষ্টদেবী কালী, ছোট্ট শিশুকন্যার রূপে এসে তাঁকে ব্রহ্মজ্ঞান দিয়ে গেলেন।

শোনা যায়, একবার স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভৈরবীচরণ গিয়েছিলেন কাশীতে। মণিকর্ণিকা ঘাট থেকে একটি কষ্টি পাথর পান। নির্দেশমত সেই পাথর কাটা হয়েছিল। সেই বিগ্রহ একটি বামাকালী বিগ্রহের রূপ নেয়, কারণ দেবীর বাঁ পদ মহাকালের বক্ষস্থলে। সেই বিগ্রহ নিয়ে আসেন তাঁর আন্দুলের বাড়িতে। একটা মাটির মন্দিরে দক্ষিণাকালীর বীজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই প্রতিমা। জানা যায়, ভৈরবীচরণের একমাত্র কন্যা শঙ্করী মাত্র ১১ বছর বয়সেই এক অজানা জ্বরে মারা যায়। ভৈরবীচরণের মৃত মেয়ে শঙ্করীর নামেই আন্দুলের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নামকরণ হলো শ্রীশ্রীশঙ্করী-সিদ্ধেশ্বরী।

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande