হাফলং (অসম), ২০ অক্টোবর (হি.স.) : আলোর উৎসব দীপাবলি ও কালীপূজায় মেতে উঠেছে অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাও। তবে অসমের হৃদস্পন্দন বহুমুখী কিংবদন্তি শিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণে সকলের মধ্যে বিষাদের ছায়া আজও বিদ্যমান। তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এবার দীপাবলি ও কালীপূজায় নেই তেমন উচ্ছ্বাস।
প্রাণের মানুষটিকে হারিয়েও দীপাবলিতে আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে জেলা সদর শহর হাফলং। তবে এবার বাজিপটকার তেমন বাজার নেই। প্রয়াত সংগীত শিল্পী জুবিন গার্গকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে বাজিপটকার তেমন শব্দ নেই হাফলং শহরে। বাজিপটকা না পুড়িয়ে শ্যামামায়ের আরাধনা করছেন শহরবাসী।
হাফলং শহরের বিভিন্ন পুজো কমিটিতে অন্যান্যবারের মতো নেই আড়ম্বরতা। সবাই চাইছেন জুবিন গার্গের মৃত্যুর ন্যায়বিচার। তার মধ্যে হাফলং উপ-কারাগারে বন্দি রয়েছেন জুবিনের মৃত্যু-মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শেখরজ্যোতি গোস্বামী ও অমৃতপ্রভা মহন্ত। এই দুই অভিযুক্তকে হাফলং কারাগারে নিয়ে আসার জন্য একাংশ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাছাড়া গত রবিবার জুবিন গার্গের মৃত্যুর এক মাস পূর্ণ হওয়ায় চলছে বিভিন্ন স্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান। এরই মধ্যে শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে বিষাদের মধ্যে চলছে শ্যামামায়ের আরাধনা।
এদিকে অসমের বিভিন্ন প্রান্তে এবার জৌলুসহীন দীপাবলির জন্য পাহাড়ে বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় করেছেন হাফলং শহরে। দীপাবলি উৎসবে অসমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বহু পর্যটক জানিয়েছেন, এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গোৎসবের সময় যেমন ছিল এক বিষাদের ছায়া, ঠিক তেমনই বিষাদের মধ্যে হাফলং এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে আলোর উৎসব দীপাবলিতে শান্তির বাতাবরণে কয়েকদিন কাটাতে পাহাড়ে ছুটি কাটাতে এসেছেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব