কাস্টমার ইন্টারফেস শক্তিশালী করে লজিস্টিক দক্ষতা বৃদ্ধি এনএফ রেলের
গুয়াহাটি, ২০ অক্টোবর (হি.স.) : উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি এবং মালবাহী রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলি লজিস্টিক দক্ষতা জোরদার করা, সুগম পণ্য পরিবহণ নিশ্চিত করা
এনএফআর_প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি


গুয়াহাটি, ২০ অক্টোবর (হি.স.) : উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি এবং মালবাহী রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলি লজিস্টিক দক্ষতা জোরদার করা, সুগম পণ্য পরিবহণ নিশ্চিত করা এবং আঞ্চলিক কৃষি ও শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খলের বৃদ্ধিকে সহায়তা করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

এই তথ্য দিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লামডিং ডিভিশনের অধীনে নাগাল্যান্ডের মলভম স্টেশন এবং মিজোরামের সাইরাং স্টেশন যথাক্রমে ২ সেপ্টেম্বর এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বহির্গামী এবং অন্তর্মুখী সকল পণ্য পরিবহণ হেণ্ডলিং-এর জন্য খোলা হয়েছে। এছাড়া, সাইরাং স্টেশনটি ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে যানবাহন পরিবহণের জন্য বহির্গামী এবং অন্তর্মুখী উভয়ের জন্যই খোলা হয়েছে। তাছাড়া, রঙিয়া ডিভিশনের অধীনে বাইহাটা স্টেশন ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে অন্তর্মুখী আয়রন ও স্টিল সামগ্রী পরিবহণের জন্য খোলা হয়েছে। কৌশলগত এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এতদঞ্চলের ক্রমবর্ধমান সরবরাহ চাহিদা পূরণ করবে বলে আশা করছে উত্তরপূর্ব রেল।

তিনি জানান, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বিডিইউ) পদক্ষেপের অধীনে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে গত সেপ্টেম্বরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পণ্য পরিবহণ করেছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অধীনে নিউ কোচবিহার স্টেশন থেকে লামডিং ডিভিশনের জিরানিয়ায় মোট ২১টি ওয়াগন চাল লোড করা হয়েছিল। লামডিং ডিভিশনের অধীনে বিভিন্ন নতুন স্থান থেকে মোট ১,৪৭৪টি ওয়াগন স্টন চিপস বুক করা হয়েছিল - শোখুভি থেকে জিরানিয়া এবং লামডিং পর্যন্ত ২৬২টি ওয়াগন, শালচাপাড়া থেকে ভৈরবী পর্যন্ত ৬২টি ওয়াগন, ডিটকছড়া থেকে জিরানিয়া, বিলোনিয়া এবং বিহাড়া পর্যন্ত ৫৮৮টি ওয়াগন, বিহাড়া থেকে জিরানিয়া এবং বিলোনিয়া পর্যন্ত ২৪৫টি ওয়াগন, পাঁচগ্রাম থেকে উদয়পুর, জিরানিয়া এবং বিলোনিয়া পর্যন্ত ১৪৭টি ওয়াগন, ভৈরবী থেকে লালাবাজার এবং সাইরাং পর্যন্ত ১৭০টি ওয়াগন।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে পণ্যবাহী পরিষেবা এবং কাস্টমার ইন্টারফেস উন্নত করার ওপর মনোযোগ দিয়ে চলেছে। একই সাথে এই অঞ্চলের সরবরাহ এবং সরবরাহ শৃঙ্খল বাস্তুতন্ত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে, বলেন কপিঞ্জল কিশোর শর্মা।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande