পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ অক্টোবর, (হি.স.): বিজয়া সম্মিলনীর নামে বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে কেশিয়াড়িতে। চর্চা রাজনৈতিক মহলেও।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ হয় রবিবার। কেশিয়াড়িতে একই সময়ে দিলীপ অনুগামী ও শুভেন্দু অনুগামীদের বিজয়া সম্মিলনী হয়।
শুভেন্দু অনুগামী প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর অধিকারী দাবি করেছেন, তাঁদের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বেশি লোক হয়েছিল। তিনি বললেন, “আমরা অনেকদিন আগে থেকেই কেশিয়াড়িতে একটি বিজয়া সম্মিলনী করব বলে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। শুক্রবার থেকে কর্মীদের জানানোর পর্ব শুরু হয় রবিবার হবে বলে। আর শনিবার দুপুর থেকে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা হয়। তারপরই শনিবার সন্ধ্যা থেকে কেশিয়াড়ি ৪ নম্বর মন্ডল সভাপতি পাল্টা সোশাল মিডিয়াতে প্রচার করতে থাকেন হাই স্কুলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ আসবেন।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ বললেন, “পাড়ায় বিজয়া সম্মিলনী হতেই পারে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে দলের কর্মীদের বাইরে সাধারণ মানুষও যাতে আসেন। এরকম করুক সবাই। তাতে পার্টি শক্তিশালী ও জিতলেই হল।” দিলীপ ঘোষের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে কেশিয়াড়ি বিধানসভার চারটি মন্ডল কমিটির সভাপতিদের দেখা গেলেও মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সমিত মণ্ডলকে দেখা যায়নি।
কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল। তৃণমূলের কেশিয়াড়ি ব্লক সভাপতি অশোক রাউত বললেন, “এটা নতুন কিছু নয়। এটা কোনও বিজয়া সম্মিলনী নয়। নির্বাচন আসছে। তাই ভোট পাখির মতো সব যাতায়াত শুরু করেছে। এই নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত