
ফটিকরায় (ত্রিপুরা), ৩১ অক্টোবর (হি.স.) : ঊনকোটি জেলার ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে গড়ে উঠছে দ্বিতল বিশিষ্ট নতুন শ্রেণিকক্ষ ভবন। শুক্রবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই ভবনের শিলান্যাস করেন রাজ্যের কেবিনেট মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক সুধাংশু দাস। মোট ৯ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে এই ভবনটি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, ফটিকরায় পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিতা দত্ত কর, জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার, গ্রামোন্নয়ন দফতরের সুপারেন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত রায়, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধানশিক্ষক কৃষ্ণ রঞ্জন পাল সহ অন্যান্যরা। অতিথিরা ফিতা কেটে এবং প্রস্তর ফলক উন্মোচন করে ভবনের শিলান্যাস করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, “এই বিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি ফটিকরায়বাসীর আবেগ ও গর্বের প্রতীক। এই স্কুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বহু মানুষ দেশ-বিদেশে প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন এবং সমাজসেবায় যুক্ত আছেন।” তিনি জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকার বসার ঘর, অডিটোরিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
মন্ত্রী আরও জানান, অর্থ দফতরের মাধ্যমে আরআইডিএফ প্রকল্পের অধাীনে ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ। মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই বিদ্যালয়ের জন্য সাড়ে নয় কোটি টাকার বরাদ্দ মঞ্জুর হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ২০২৭ সালের মধ্যে ভবন নির্মাণ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দফতর ও কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
বিদ্যালয়ের মাঠ উন্নয়ন এবং গ্যালারি নির্মাণের জন্য আরও সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সুধাংশু দাস। পাশাপাশি ফটিকরায় বিদ্যাসাগর সেতু থেকে কাঞ্চনবাড়ি হয়ে মশাউলি পর্যন্ত রাস্তা ডবল লেন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যার জন্য প্রায় কুড়ি কোটি টাকার ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে এবং কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
পঞ্চাশের দশকে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি সম্প্রতি প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন করেছে। প্রায় ১,২০০-র বেশি ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত এই বিদ্যালয়ে পূর্বে নির্মিত দ্বিতল ভবনটি সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। তাই নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং স্থানীয়দের মধ্যে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও এলাকার মানুষজন বলেন, এই নতুন ভবন নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিকাঠামোয় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ