“রাজনৈতিক অভিসন্ধি”, ‘আমার সোনার বাংলা’ বিতর্কে তথাগতের কটাক্ষ
কলকাতা, ৩১ অক্টোবর, (হি.স.): বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গান গেয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অসমের কংগ্রেস নেতা। এই বিতর্কের মুখে প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় মন্তব্য করলেন, পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল বলে তাঁর অনুমান। তথাগতবাবু লিখেছেন,
তথাগত রায়


কলকাতা, ৩১ অক্টোবর, (হি.স.): বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গান গেয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অসমের কংগ্রেস নেতা। এই বিতর্কের মুখে প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় মন্তব্য করলেন, পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল বলে তাঁর অনুমান।

তথাগতবাবু লিখেছেন, “বাঙালিপ্রধান (আসলে এখন বাংলাদেশী মুসলমান অনুপ্রবেশকারী-প্রধান) বাংলাদেশ-সীমান্তবর্তী শ্রীভূমি জেলায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা গাইতে গিয়ে এক কংগ্রেসসেবী রাষ্ট্রদ্রোহের কেসে পড়েছেন বলে সংবাদ। পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভূত নিন্দা হচ্ছে।

এটা নিয়ে দু'তরফেরই শকিছু বলার থাকতে পারে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশ সীমান্তের উপর বসে, যখন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আদৌ ভাল যাচ্ছে না সেসময়, উনি বেছে বেছে ওই গানটা গাইলেন কেন? রবীন্দ্রনাথের দেশাত্মবোধক গান গাইতে চাইলে বাংলার মাটি বাংলার জল অথবা আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে গাইতে পারতেন !

তাই আমার সন্দেহ, এটা একটা চুলকে ঘা করার প্রচেষ্টা, যার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল।”

প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান গাওয়ার ‘অপরাধে’ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাসের বিরুদ্ধে। অসমের বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকায় শ্রীভূমিতে জেলা কংগ্রেসের একটি সভায় ওই গানের প্রথম দুই লাইনের পর ভাষণ শুরু করেন। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিজেপির তরফে কংগ্রেস নেতাকে সরাসরি আক্রমণ করা হয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ওই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার নির্দেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande