
আগরতলা, ৩১ অক্টোবর (হি.স.) : ত্রিপুরার বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন ৭ নভেম্বর তিপ্রা মথা দলের জনসভার অনুমতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। শুক্রবার আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি জানান অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সদস্য তথা কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
তিনি বলেন, “রাজ্যের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্তিপূর্ণ নয়। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বয়ানবাজি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে। এর নেপথ্যে ১৯৮০ সালের মতো চক্রান্তের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।” এই কারণেই তিপ্রা মথা দলের জনসভার অনুমতি বাতিলের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, তিপ্রাসা সিভিল সোসাইটির ডাকা বনধের পর আবারও তিপ্রা মথার জনসভা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। মথা নেতৃত্ব জনসভাকে ঐতিহাসিক রূপ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে কংগ্রেসের আশঙ্কা, এতে রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান লোকসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি বলেন, “সংবিধানের ১২৫তম সংশোধনী বিল এবং তিপ্রাসা একর্ড সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। সাংসদ এই দুইটি বিষয়কে এক করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।” তিনি আরও তির্যকভাবে বলেন, “উড়ে এসে জুড়ে বসলে এই ধরনের উল্টোপাল্টা কথাই বলা হবে, এবং সেটাই হচ্ছে।” কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ, “তিপ্রাসাদের প্রকৃত দাবি নিয়ে বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার কেউই আন্তরিক নয়।”
অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা একই সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যে ট্রেনের বগি থেকে বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী উদ্ধারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, “রাজ্য সরকার প্রশাসনিকভাবে ব্যর্থ এবং বিরোধীদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে।”
প্রদেশ কংগ্রেসের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এখন প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলির দায়িত্ব আরও বেড়েছে বলে মত বিশ্লেষক মহলের।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ