আপডেট...যে সমাজে গরিব এবং মধ্যবিত্তরা আনন্দে থাকেন তা-ই আদর্শ সমাজ : মুখ্যমন্ত্ৰী
– ‘গত পাঁচ বছরে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এক এক করে পূরণ করছে সরকার’ – ১ জানুয়ারি থেকে ১০০ টাকায় ডাল-চিনি-লবণ, ‘অন্ন সেবা’-র সূচনা করে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্বের গুয়াহাটি, ১০ নভেম্বর (হি.স.) : যে সমাজে গরিব এবং মধ্যবিত্তরা আনন্দে থাকেন তা-ই আদর্শ
রেশন কার্ডধারীদের হাতে সুলভ মূল্যের পণ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা


জনৈক প্ৰৌঢ়ার চরণস্পর্শ মুখ্যমন্ত্রীর


বক্তব্য পেশ করছেন মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা


– ‘গত পাঁচ বছরে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এক এক করে পূরণ করছে সরকার’

– ১ জানুয়ারি থেকে ১০০ টাকায় ডাল-চিনি-লবণ, ‘অন্ন সেবা’-র সূচনা করে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্বের

গুয়াহাটি, ১০ নভেম্বর (হি.স.) : যে সমাজে গরিব এবং মধ্যবিত্তরা আনন্দে থাকেন তা-ই আদর্শ সমাজ। গত পাঁচ বছরে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এক এক করে পূরণ করছে সরকার। আগামী বছর (২০২৬)-এর ১ জানুয়ারি থেকে রেশনে ১০০ টাকায় মিলবে ডাল-চিনি এবং লবণ। আগামী নিৰ্বাচনে ক্ষমতায় বিজেপি এলে পাবেন এক লিটার করে সরষে তেলও, শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্ৰে ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন’ (এনএফএসএ)-এর অধীনে ‘অন্ন সেবা দিন’-এর সূচনা করে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

পরিপুষ্টি নিশ্চিত করতে অসম সরকার আজ থেকে গোটা রাজ্যে ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন’ (এনএফএসএ)-এর অধীনে ‘অন্ন সেবা দিন’-এর সূচনা করেছে। খাদ্য সুরক্ষায় রাজ্যের সব রেশন দোকান থেকে সুবিধাভোগীদের সুলভ মূল্যে ডাল, চিনি, লবণ সরবরাহ প্রকল্পের শুভারম্ভ করেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী।

শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্ৰে শ্রীমন্ত শংকরদেব আন্তৰ্জাতিক মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা বলেন, ‘আজ থেকে প্রথমবারের মতো রাজ্যের সমস্ত ন্যায্য মূল্যের দোকানে আমরা বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ শুরু করেছি। অন্ত্যোদয় আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এক এক করে পূরণ করছে সরকার। তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়া খুব সহজ। কিন্তু তা পালন করা কঠিন এবং সেই সব প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত করছে সরকার। অসমের দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের জন্য সরকার ইতিমধ্যে যে সব কাজ করেছে এবং করণীয় সে সবের তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গরিব-দুখিদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করেছেন। ওই সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রান্নার গ্যাসের জন্য ভরতুকির ব্যবস্থা করেছেন। কোভিডকালে বিনামূল্যে চাল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিডের পরও প্রতিটি গরিব পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য পাঁচ কেজি করে বিনামূল্যে চাল দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, গরিবদের কথা ভেবে অসম সরকার ২০২০ সালে ১৮ লক্ষ পরিবারকে ৮৩০ টাকা করে অরুণোদয়-এর (প্রথম সংস্করণ) টাকা প্রদান শুরু হয়েছিল। অরুণোদয়-এর দ্বিতীয় সংস্করণে (২.০) ২৮ লক্ষ পরিবারকে ১,০০০ টাকা এবং অরুণোদয়-এর তৃতীয় সংস্করণে (৩.০) ৩৮ লক্ষ পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রদেয় টাকার রাশি ১,২৫০ করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বৃদ্ধ পেনশনের অর্থরাশি বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে রাজ্যের ৭০ লক্ষ রেশনকার্ডধারী প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬৯ টাকায়, চিনি প্রতি কেজি ৩৮ টাকায় এবং লবণ প্রতি কেজি ১০ টাকায় পাবেন। এই পণ্যগুলি কিনতে খরচ হবে ১১৭ টাকা। তিনি বলেন, রাজ্যে এখন ৭০ লক্ষ রেশনকার্ডধারী আছেন, নতুন আরও ৫ লক্ষ ৪ হাজারজনকে রেশন কাৰ্ড দেওয়া হবে।’

‘অন্ন সেবা দিন’-এর শুভারম্ভ করে রাজ্যে চলমান জনকল্যাণমুখি সব প্রকল্পের খতিয়ান উপস্থাপন করে মুখ্যমন্ত্ৰী ঘোষণা করেছেন, ‘আগামী জানুয়ারি থেকে ১০০ টাকায় রাজ্যের সব সুলভ মূল্যের দোকানে পাওয়া যাবে এই সব পণ্যসামগ্ৰী। আগামী নিৰ্বাচনে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে এক লিটার করে সরষে তেলও রেশনকার্ডধারীরা পাবেন। সুলভ মূল্যের দোকানীরা লাভ পাবেন ২.০০ টাকা করে।’

প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রায় ৩৩ হাজার সুলভ মূল্যের দোকানেও আজ একযোগে মন্ত্রী, বিধায়ক বা স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সুবিধাভোগীদের উপস্থিতিতে ‘অন্ন সেবা দিন’-এর শুভারম্ভ হয়েছে। ওই সব অনুষ্ঠানে গুয়াহাটিতে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়েছে।

এদিকে গুয়াহাটির অনুষ্ঠানে কংগ্ৰেসের তুলোধোনা করেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, ‘মোদী সরকার মাসে চাল বাবদ দিয়েছে ৮০০ টাকা, অরুণোদয় বাবদ ১,২৫০ টাকা করে প্রতি মাসে বিনামূল্যে পাচ্ছেন মোট ২,০৫০ টাকা। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার কিনলে ৪০০ টাকা ভরতুকি। এর সঙ্গে আজ থেকে লাভ করলেন রেশনকাৰ্ডের সুবিধা। রেশন কাৰ্ডের মাধ্যমে বিনামূল্য চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যাবে। আর কংগ্ৰেসের আমলে কী সুবিধা পাওয়া যেত? কংগ্রেসের শাসনামলে পাওয়া যেত ধুতি আর কম্বল। আমার সরকার রাজ্যের মানুষকে অর্থ-উপার্জনের দুয়ার খুলেছে। একটি অরুণোদয় পরিবার আমার আমলে পাচ্ছে ২,০৫০ থেকে ৫,৫০০ টাকার সুবিধা।’

শ্রীমন্ত শংকরদেব আন্তৰ্জাতিক মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্য বহু বিশিষ্টজনের সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ইত্যাদি দফতরের মন্ত্রী অশোক সিংহল, খাদ্য, গণবণ্টন ও গ্রাহক পরিক্রমা দফতরের মন্ত্রী কৌশিক রায়, শ্রমিক কল্যাণ ইত্যাদি দফতরের মন্ত্রী রূপেশ গোয়ালা, সাংসদ বিজুলি কলিতা মেধি, সাংসদ ভুবনেশ্বর কলিতা, তিন বিধায়ক সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, অতুল বরা ও রমেন্দ্রনারায়ণ কলিতা, মুখ্যসচিব ড. রবি কোটা প্রমুখ।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande