
কলকাতা, ১০ নভেম্বর (হি.স.) : “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা যাঁরা দুর্নীতির কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে সহায়তা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সঙ্গে সিএজি অডিট করানোর দাবিও তুলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “বর্তমান রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলতার ক্ষেত্রে প্রতি মুহূর্তে নানা ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে।”
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৫ সাল থেকে আবাস যোজনার সূচনা করেন। এই প্রকল্পের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই খাতে রাজ্য সরকারকে টাকা দিয়েছেন। ২০১৮ থেকে ’২৩ সাল পর্যন্ত সাগরদিঘীর কাবিলপুর অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ১৭টি বাড়ি নিয়েছিলেন, নওদা ব্লকের এক প্রধান তাঁর চাচা, চাচি খুড়ি, জেঠি, নাতি নাতনি মিলে ৩৫ টা বাড়ি নিয়েছেন। এরকম অসংখ্য প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি একটি তথ্য দেখিয়ে বলেন কিভাবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের ভূমিধস, বন্যা মোকাবিলা করার জন্য দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ থেকে ১৩৪ কোটি টাকা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগে (পিএন্ডআরডি)- দিয়েছেন। তিনি বলেন,
দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ খাতে দেওয়া টাকা অন্য দফতরের কাজে বন্টন করা যায় না।
দার্জিলিংয়ের পাহাড় থেকে তরাই ডুয়ার্স পর্যন্ত ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে টাকা এদিক-ওদিক করছেন তা অত্যন্ত লজ্জার এবং ধিক্কারজনক। এই কাজ সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। আমাদের দার্জিলিং এর সাংসদ অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে দার্জিলিংয়ের শোচনীয় অবস্থা তুলে ধরে তাঁর অভিযোগ পত্র কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র সচিবকে পাঠিয়েছেন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত