
বিশালগড় (ত্রিপুরা), ২০ নভেম্বর (হি.স.) : মাছ চাষে স্বাবলম্বী হতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান জানালেন ত্রিপুরার মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস। জম্পুইজলা মহকুমার বুখুরুই কমিউনিটি হলে নতুন মৎস্য জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ত্রিপুরায় মাছের চাহিদা অত্যন্ত বেশি—প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ মাছ খান। কিন্তু উৎপাদন চাহিদা পূরণ করতে না পারায় এখনও বহিঃরাজ্য থেকে মাছ আমদানি করতে হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মৎস্য দফতর বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। মাছ চাষিদের উৎসাহ দিতে বছরে ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে মৎস্য সহায়তা যোজনার মাধ্যমে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা ও মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় নতুন জলাশয় নির্মাণ ও পুকুর সংস্কারের জন্যও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বহু স্বসহায়ক দল এবং ব্যক্তি মাছচাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য দফতরের অধিকর্তা সন্তোষ দাস। সভায় সভাপতিত্ব করেন জম্পুইজলা বিএসি-এর চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলই, জম্পুইজলা বিএসি-এর ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন কলই, মৎস্য দফতরের সচিব দীপা ডি. নায়ার, সমাজসেবী অর্জুন দেববর্মা প্রমুখ। জানা গেছে, মহকুমায় নির্মিত এই নতুন মৎস্য জ্ঞানার্জন কেন্দ্র তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৫২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ