কেকের মরসুমে শুনশান ওরিয়েন্ট বেকারি, কর্মীর অভাবে ধুঁকছে চন্দ্রকোনার ৪০ বছরের পুরনো কারখানা
চন্দ্রকোনা, ১৫ ডিসেম্বর ( হি. স.) : - শীতের উৎসবের মরসুম, সামনে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ। যখন সর্বত্র কেকের চাহিদা তুঙ্গে, তখন শুনশান চন্দ্রকোনার খিড়কিবাজার এলাকার একসময়ের জনপ্রিয় ওরিয়েন্ট বেকারি। ১৯৮৮ সালে চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গড়
বেকারি


চন্দ্রকোনা, ১৫ ডিসেম্বর ( হি. স.) : - শীতের উৎসবের মরসুম, সামনে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ। যখন সর্বত্র কেকের চাহিদা তুঙ্গে, তখন শুনশান চন্দ্রকোনার খিড়কিবাজার এলাকার একসময়ের জনপ্রিয় ওরিয়েন্ট বেকারি। ১৯৮৮ সালে চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গড়ে ওঠা এই বেকারি কারখানাটি একসময় দিনরাত তিন শিফটে চলত। কেক, রুটি, বিস্কুট, পেস্ট্রি—সবই তৈরি হতো এখানে। ২০-২৫ জন কর্মীর ব্যস্ততায় মুখর থাকত কারখানা চত্বর।কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে কর্মীর অভাব, আর্থিক ক্ষতি ও একের পর এক সমস্যায় পড়ে প্রায় বন্ধের মুখে এই ৪০ বছরের পুরনো কারখানা। মালিক এনামুল হক জানান, করোনাকালে ভিন জেলা থেকে আসা কর্মীরা ফিরে যাওয়ার পর আর তেমনভাবে ফেরেননি। তার ওপর একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হয় তাঁকে।বর্তমানে ৬০ বছর বয়সি এনামুল হক দুই ছেলেকে নিয়ে কোনও রকমে কারখানাটি চালাচ্ছেন। এখন সীমিত পরিসরে পাঁপড় ও কিছু হালকা খাবার তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একসময় বড়দিন ও নববর্ষে টাটকা কেক কিনতে ভিড় জমত এখানে। আজ সেই দৃশ্য অতীত। উৎসবের মরসুমে কেকের জোগানদার এই বেকারি এখন ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ খুঁজছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়




 

 rajesh pande