
অশোক সেনগুপ্ত
কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর (হি. স. ) : যুবভারতীতে মেসিকাণ্ডে রবিবার থেকেই অভিযোগের তীর ক্রীড়ামন্ত্রীর দিকে। মেসির আশপাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং ক্রীড়ামন্ত্রীর স্বজনদের ফটোশুটের ছবি সমানে ঘুরেছে সামাজিক মাধ্যমে। নেটানাগরিকদের একাংশের চূড়ান্ত ক্ষোভের মুখে সোমবার ক্রীড়ামন্ত্রীর ভাই স্বরূপ বিশ্বাস একটি সংবাদ চ্যানেলে ভিডিয়ো-বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে রয়েছে সরকার-প্রশাসনকে সমর্থন। এটি প্রকাশ্যে আসার ২ ঘন্টা পর, সন্ধ্যা ছ’টায় প্রতিক্রিয়া এসেছে ২৭১।
প্রতিক্রিয়ার প্রায় প্রতিটিতেই ক্ষোভ এবং বিরোধিতা। নয়ন দাশগুপ্ত লিখেছেন, “দুটোই গাধা, দুটোই বলদ”। দুটোই বলতে বুঝিয়েছেন অরূপ-স্বরূপকে। সৌম্যব্রত দে লিখেছেন, “আপনাদের শরীর কিসের চামড়া দিয়ে তৈরি, বড় জানতে ইচ্ছে করে।” এর জবাবে পার্থ দে লিখেছেন, “মানুষের তো নয়ই, তা না হলে দাঁত কেলিয়ে সাফাই দিতে আসে।”
সপ্তদীপ সাহা লিখেছেন, “কোন প্রথা মেনে আপনার বাড়ির লোক মাঠে কানা মাছি খেলছিলো?” প্রসেনজিৎ হাজরা লিখেছেন, “আপনার পরিবার? ওনারাও কি প্রটোকল মেনে গিয়েছিলেন? মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীও মাঠে ছিলেন কিন্তু উনি গায়ে উঠে পড়েন নি, বা হাত ধরে টানাটানি করেনি।”
‘আমি লীনা’ নামধারী একজন লিখেছেন, “মেসির কোমর খামচে ধরাটাও কি প্রথার মধ্যে ছিল? মেসিকে টলিউডের সস্তা ছাপড়ি নায়িকা ভেবেছিলেন?” দিব্যেন্দু দাস লিখেছেন, “অরূপ বিশ্বাসের নাম নাকি ছবি বিশ্বাস হয়ে গেছে?”
স্বরূপ বিশ্বাস প্রকাশ্যে বলেছেন, ক্রীড়ামন্ত্রী মাঠে না থাকলে তো আবার সমালোচনা করতেন কেন উনি মাঠে নেই? তার জের টেনে
ইন্দ্রজিৎ সরকার লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী না থাকলে কেউ সমালোচনা করতো না।” তন্ময় ভট্টাচার্য লিখেছেন, “অভিদা এট্টু বিদেশ গিয়েছে অমনি ইভেন্ট ডাহা ফেল, এরম ছড়ালে হবে? একা আর কতো করবে?
মধুসূদন বসুমল্লিক লিখেছেন, “বিশ্বাস কি মেসির কাছে, বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারলো..........”। অমিত অধিকারী (স্বরূপ বিশ্বাস-কে টিপ্পনি কেটে) লিখেছেন, “আরে ও কি, ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস না ছবি বিশ্বাস?” দোয়েলি গুহ দাসগুপ্ত লিখেছেন, আপনার (স্বরূপ বিশ্বাস) মেয়েরা কোন প্রথা মেনে গেছিল? আপনাদের বিশ্বাস পরিবারের চড়ুইভাতি হচ্ছিল নাকি জনগণের টাকায়?”
অপূর্ব হালদার লিখেছেন, “প্রথা মেনে থাকায় কোনো অপরাধ নেই -- অপরাধ আছে সর্বক্ষণ মেসির কোলে উঠে পড়ার জন্য। সেই কারণেই আমরা কিছু দেখতে পাইনি। আর শুধু তো অরূপ নয় -- তার সাথে তার কোম্পানিও ছিল!” রূপক সরকার লিখেছেন, “পরিবারের সদস্যদের মাঠের মধ্যে উপস্থিতি কি বাধ্যতামূলক ছিল?” মিতালি সরকার লিখেছেন, “আর এক হরিদাস পাল!”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত