পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অসহ্য নির্যাতন করে তাদের ঘরছাড়া করেছে, কটাক্ষ তথাগতর
কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর (হি. স. ) '' “আরএসএস -এর কেউ ব্রিটিশ-বিরোধী লড়াইতে ফাঁসিতে কেন ঝোলে নি সেটা নিয়ে অনেকের খুব কৌতূহল আছে দেখছি। বহুবার বলেছি, আবারও বলছি - কজনের খুলি ভেদ করে ঢুকবে সেটা আমার বিবেচ্য নয়।” সোমবার সামাজিক মাধ্যমে এই মন্তব্য করলেন প্র
তথাগত রায়


কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর (হি. স. ) ' “আরএসএস -এর কেউ ব্রিটিশ-বিরোধী লড়াইতে ফাঁসিতে কেন ঝোলে নি সেটা নিয়ে অনেকের খুব কৌতূহল আছে দেখছি। বহুবার বলেছি, আবারও বলছি - কজনের খুলি ভেদ করে ঢুকবে সেটা আমার বিবেচ্য নয়।” সোমবার সামাজিক মাধ্যমে এই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “ফাঁসিতে ঝোলা, বা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়াটা সম্ভব শুধু রাজনৈতিক সংগঠনের দ্বারা। এইটা সর্বাগ্রে বুঝতে হবে। এইজন্যই বিশ্বভারতী, আর্যসমাজ, ব্রাহ্মসমাজ, রামকৃষ্ণ মিশন, মোহনবাগান ক্লাব, থিওজফিক্যাল সোসাইটি, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, হাওড়া কুষ্ঠ কুটির - এরা কেউই স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়নি। কারণ এরা কেউই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল না। তেমনি আরএসএস-ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল না, এখনও নয়। তাই আরএসএস-এর স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেবার কোন প্রশ্ন ওঠে না।

আরএসএস একটি সমাজ-সংস্কারমূলক আন্দোলন, যার একমাত্র উদ্দেশ্য হিন্দু সমাজকে হিন্দু হিসাবে (বাঙালি-বিহারী অথবা উচ্চবর্ণ-নীচবর্ণ হিসাবে নয়) জাগ্রত ও সংগঠিত করা। এই কাজে আরএসএস ১০০% সফল, এবং তার ফলে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঐচ্ছিক প্রতিষ্ঠান।

উল্লেখ্য, মুসলিম লীগ কিন্তু পুরোদস্তুর রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল ও আছে। কিন্তু তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ শূন্য, ফাঁসি যাওয়া তো দূরস্থান। তাই নিয়ে তারা লজ্জিতও নয়, কারণ তারা বিনা কষ্টে স্বাধীনতার লড়াইয়ের ফায়দা লুটেছে, তারপর তারা পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অসহ্য নির্যাতন করে তাদের ঘরছাড়া করেছে।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande